রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

পরবর্তী শীতের আগে জীবন স্বাভাবিক হতে পারে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

ভ্যাকসিন বিজ্ঞানীর প্রত্যাশা
করোনার একটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজের সাথে জড়িত একজন বিজ্ঞানী আশা প্রকাশ করেছেন, ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা সম্ভব হলে পরবর্তী শীত নাগাদ জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ঔষধ কোম্পানী ফাইজারের সাথে যৌথভাবে জার্মান বায়োটেক যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে তার সহ প্রতিষ্ঠাতা তুরস্কের ইগুর শাহীন রোববার বৃটিশ টেলিভিশনকে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক মতো চললে চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করতে পারবো। শাহীন বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করা। তিনি আশা করেন, গ্রীস্মে সংক্রমণ কমবে। তবে শরৎ নাগাদ ব্যাপকহারে টিকা গ্রহণ করতে হবে। শাহীন বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিকাদান কোম্পানী সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে। সুতরাং আগামী বছর আমরা একটি স্বাভাবিক শীতকাল পেতে পারি।
শাহীন ও তার স্ত্রী ওজলেম তুরেসি জার্মানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী মায়েঞ্জে ২০০৮ সালে বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানীটি মার্চ মাসে আমেরিকান ঔষধ কোম্পানী ফাইজারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে। এদিকে গতকাল সোমবার কোম্পানীটি করোনা প্রতিরোধে তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে ঘোষণা করেছে।
ভ্যাকসিন ফার্মগুলোর সাথে দেখা করবেন বাইডেনের উপদেষ্টারা: ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থবির থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সরকারের শীর্ষ এক সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জানান, চলমান জনস্বাস্থ্য সংকটের সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে এ বিলম্ব অনেক সমস্যার। জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা. অ্যান্টনি ফৌসি বলেন, ‘অবশ্যই ভালো হবে যদি আমরা শিগগিরই তাদের সাথে কাজ শুরু করতে পারি।’ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারি সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এমন অবস্থায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের কাছে যেতে চাচ্ছেন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগী শনাক্তের ক্ষেত্রে গত সাত দিনের গড় শনিবার দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ জনে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং শনিবার পর্যন্ত দিনে গড়ে মৃত্যু হয়েছে ৮২০ জনের, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। ফাইজার ও অন্যান্য ওষুধ সংস্থার বরাত দিয়ে বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন বলেন, ‘আমরা চলতি সপ্তাহেই এসব আলোচনা শুরু করব।’
এদিকে, করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মোট মারা গেছেন ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০২ জন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ২১১ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এখনও রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪৬ হাজার ২০৬ জন মারা গেছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা রবিবার এক কোটি ১০ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এক কোটি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা অতিক্রম করে ৮ নভেম্বর। দেশটিতে গত ১১ দিন ধরে টানা প্রতিদিন এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস: ভারতে উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে বিবিসির প্রতিবেদক সানজানা চৌধুরীর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের টিকা প্রস্তুত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ভারত, চীনসহ কয়েকটি দেশ।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে বাঁচতে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য এখন প্রতিষেধক টিকা তৈরি করা। এর মধ্যে ভারত তিনটি প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছে। দুটি তাদের নিজেদের তৈরি এবং আরেকটি ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের পেটেন্ট নিয়ে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে এবং এই ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, তার দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি হলে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ভারত তাদের উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশকে দেবে কি না সেটা দেশটির নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশ কোন্ উপায় পাবে সেটা ভারতের সাথে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তির ওপর নির্ভর করবে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক। তিনি বলেন, “ভারতসহ বিভিন্ন দেশকে অক্সফোর্ড এই টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। অক্সফোর্ড যদি ভারতকে অনুমোদন দেয় বিক্রি করতে, তাহলে তারা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে। এটা নির্ভর করছে অক্সফোর্ডের ওই কোম্পানি এবং ভারতের মধ্যে কী দেন-দরবার হয়েছে, সেটার ওপর।” যেহেতু, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাই মি. হক আশা করছেন যে ওই টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার মতো অনুমোদন তাদের আছে। “পররাষ্ট্র সচিবের মতো শীর্ষ পর্যায়ের নেতার কিছু বলা মানে সেটা ভারত সরকারের বক্তব্য। এতে ধারণা করাই যায় যে, ওই টিকা সফল হলে সেটা বাংলাদেশকে দেয়ার অথরিটি তাদের আছে,” বলেন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সারাবিশ্বে প্রায় ১২০টি করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরির কার্যক্রম চলছে ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ও চীন সাতটি দেশে ভ্যাকসিনের অ্যাডভান্সড ট্রায়াল শুরু করেছে। এগুলোর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশে শুরু করা উচিৎ বলে অভিমত দিয়েছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। সে লক্ষ্যে টিকা উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। এখন বাংলাদেশে কোন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হলে কী লাভ হবে, সে বিষয়ে সরকারের ভ্যাকসিন বিষয়ক কমিটির সদস্য ডাঃ শামসুল হক বলেন: “কোন দেশে ভ্যাকসিন পরীক্ষার পর যদি এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় তাহলে যে দেশে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ সহজ হয়ে যায়। ”আবার যারা এই ভ্যাকসিন উৎপাদক তারা যেসব দেশে পরীক্ষা চালায় তাদেরকে সাধারণত অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে,” জানান ডা: হক। এর আগে চীন মোট ছয়টি দেশে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করে। দেশগুলো হল ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, ফিলিপিন্স ও তুরস্ক। বাংলাদেশেও এই টিকার ট্রায়াল হওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা জানালে সেই প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়। অথচ জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ এই ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতিও নিয়েছিল।
এরপরেও সেটা বাংলাদেশে কেন পরীক্ষা করা হয়নি সেটা নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কখন আসবে করোনা টিকা? এর পেছনে বৈশ্বিক রাজনীতি এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ। চীন যদি চায় তাদের ভ্যাকসিনটি কোন দেশকে নিতে হবে। তাহলে চীন ওই দেশের ওপর চাপ দেবে। মি. আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চীন পদ্মা সেতু বা তিস্তা সেতুর অর্থায়নের শর্ত তুলে চাপ দেবে। এই ঘোষণা দেয়ার দুইদিনের মাথায় মি. শ্রিংলা ঢাকায় হাজির হয়েছেন।
তাই চীনের টিকা পরীক্ষা না করার পেছনে যে রাজনীতি নেই, ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই এটা উড়িয়ে দেয়া যাবে না বলে জানান মি. আহমেদ। তিনি বলেন, “যখন বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে একজন মন্ত্রী টিকার মতো বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তাহলে সেটা কোন বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত থাকে না বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে যায়।” সাধারণত বাজারে আসা প্রথম ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিতরণ করে থাকে। যেসব দেশের মাথাপিছু আয় কম তাদেরকে বিনা মূল্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে।
তবে এই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ হওয়ায় বিভিন্ন দেশের সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আগে থেকেই চুক্তি করে বা অগ্রিম অর্থ দিয়ে রাখে। কিন্তু বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কারও সাথে ট্রায়ালের অংশীদার হওয়ার কোন চুক্তি করেনি , ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে অগ্রিম অর্থও দেয়নি।
এমন অবস্থায় সরকারের করণীয় সম্পর্কে মি. আহমেদ বলেন, “যখন ভ্যাকসিন বাজারে আসবে, তখন রাজনীতির খেলাগুলো বোঝা যাবে। বাংলাদেশকে সেটা হ্যান্ডেল করতে গেলে প্রচুর হোমওয়ার্ক করতে হবে। বাংলাদেশ এখনও হেলথ ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেনি।” বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিষেধক নিয়ে যতো বক্তব্য আসছে তার সবই রাজনৈতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক কথা দিয়ে টিকার মতো বৈজ্ঞানিক বিষয়ে সফল সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। সুতরাং এখানে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
বাংলাদেশ যদি সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে ভালো দেন-দরবার করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। ভুক্তভোগী হবে না বলে জানান মি. আহমেদ। এদিকে কোন্ দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এগিয়ে গেছে, কাদের ভ্যাকসিনের মান ভালো, কার্যকরী এবং দামে সাশ্রয়ী এমন নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সরকার করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়ে চুক্তি করবে বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক। এছাড়া অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে টিকা পাওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। করোনার টিকা সঠিকভাবে মজুত রাখার জন্য প্রচুর কাঁচের শিশি (ভায়াল) এবং ফ্রিজের প্রয়োজন হবে। করোনার টিকা সঠিকভাবে মজুত রাখার জন্য প্রচুর কাঁচের শিশি (ভায়াল) এবং ফ্রিজের প্রয়োজন হবে।
তবে বাংলাদেশের মতো বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ অর্থ অগ্রিম করা প্রয়োজন, সেটা দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বেনজির আহমেদ।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য অনুদানের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরি মধ্যে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে টিকা উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন টিকার অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কবে নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কোন ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে সেটা বলা যাচ্ছে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com