সাক্ষাৎকারে শেখ মো: সাজ্জাত আলী
এক ঘন্টার মধ্যে জিডির তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল বা বাদির কাছে হাজির হবেপুলিশ। এ জন্য রাজধানীর ৫০ থানার পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রয়োজনীয় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল দেয়া হয়েছে। আমি একজন সেবক। আমার কাজ জনগণকে সেবা দেয়া।শনিবার দৈনিক ইনকিলাবকে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে।প্রয়োজনে মামলা রুজু করতে হবে। যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোনো অবস্থাতেই কোনো খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্কথাকতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দায়ী হবেন।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, নগরবাসী থানায় জিডি করার পর তাদের প্রত্যাশিত সেবা যেন দ্রত পায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। জিডি করার এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন ওসির কাছে জমা দিতে হবে। ওসি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আমি একজন সেবক। আমি রেভিনিউ, ট্যাক্স কালেক্টর না। আমার কাজ জনগণকে সেবা দেয়া। তেজগাঁও থানায় ৫০০ মামলা হোক সমস্যা নেই। সে জন্য আমি জবাবদিহি করবো। কেন ৫০০ মামলা হলো। সেটার জবাব আমি দেবো। মামলা হোক, জিডি হোক, সমস্যা নাই। কিন্তু কোনও ঘটনা যেন হাইড না থাকে। যে ঘটনায় মামলা হওয়ার কথা সেটার জন্য মামলাই নিতে হবে, যেটার জন্য জিডি নেওয়ার কথা সেটার জিডিই হতে হবে।’
তিনি বলেন, ঢাকাবাসীকে দ্রুত সেবার দেওয়া জন্য প্রতিটি থানা এলাকায় আমরা নতুন টিম গঠন করেছি। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মামলা বাণিজ্যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ডিএমপিতে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করার বাইরে গিয়ে কোন প্রকার অপেশাদার কাজে জড়ালে তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।