শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুবলীগ নেত্রীর ভাইরাল হওয়া ছবির নেপথ্যে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়া মৌসুমী কবিতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা। ২০১ সদস্যের এই কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাহী সদস্যের পদ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা)।

রবিবার থেকে ফেইসবুকে যে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে সোফায় বসেন তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন মৌসুমী। একটি ছবিতে খালেদা জিয়া সোফায় বসা আর মৌসুমী মেঝেতে বসে সোফার হাতলে হাত রেখেছেন। ছবিগুলো বিএনপি চেয়ারপারসনের তৎকালীন সেনানিবাসের বাসায় তোলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌসুমীর এক ভাই চৌধুরী মাহফুজুল কবির জুয়েল বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করেছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। উপজেলা জাতীয়তাবাদি মৎসজীবী দলের সভাপতি হিসেবে তার নাম রয়েছে। তিনি থাকেন গ্রামে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। মৌসুমী কবিতার বাবা শিক্ষকতা করতেন। এক ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আরেক ভাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফেইসবুকে অনেকে সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে যেখানে ছবি তোলা হয়েছে, সেখানে কোনো অনুষ্ঠান নেই। তারা ধারণা করছেন, পারিবারিক সম্পর্ক আছে তাই এ ছবি। তবে অভিযোগকারীদের কেউ মৌসুমী কবিতার বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
মৌসুমী নিজেও দাবি করেছেন তিনি বিএনপির রাজনীতিতে কখনো যুক্ত ছিলেন না। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছি। এখন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। স্কুলজীবন থেকেই সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশ নিয়েছি। জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছি। তাই সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পুরস্কার নেয়ার ছবি আছে।
মৌসুমী ফাতেমা বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি জাতীয় পর্যায়ে নানা পুরস্কার পেয়েছি। ১৯৮৯-৯০ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছি। তার স্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গেও ছবি আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ছবি আছে। আর যে ছবিটির কথা বলা হচ্ছে সেটি ১৮-১৯ বছর আগে তোলা। এর সঙ্গে আমি বা আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এর কোনো ভিত্তি নেই। যুবলীগ নেত্রী বলেন, যে সময়ের ছবি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ে কিন্তু তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আমার ছবি ছিল। মৌসুমী ফাতেমা বলেন, ‘এসএসএফের কিছু অনুষ্ঠান হতো। ফ্যামিলি প্রোগ্রামও হতো। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি। এটাকে কেন রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা, সেটা বুঝলাম না।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com