সমকালের প্রয়াত নির্ভীক সাংবাদিক গৌতম দাসের ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী তার নিজ বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গার চন্ডিদাসদীতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে গৌতম দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ফরিদপুর জেলা সাংবাদিকবৃন্দ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ফরিদপুর ও ভাঙ্গা শাখার নের্তৃবৃন্দ, প্রথম আলো বন্ধুসভা ফরিদপুর শাখার নেতৃবৃন্দ, ভাঙ্গা উপজেলা সাংবাদিকবৃন্দ, তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন এর নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ গৌতমের সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমকাল এর ফরিদপুরের ব্যুরো প্রধান হাসানুজ্জামান, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি পান্না বালা, সমকাল সুহৃদ সমাবেসের ভাঙ্গা উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ, সমকাল উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শাকিল, চ্যানেল ২৪ এর ফটোসাংবাদিক রুবেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের অজয় দাস, যুগান্তরের নগরকান্দা প্রতিনিধি মিজান বাবু, সাংবাদিক ওবায়দুল আলম সম্রাট, সাংবাদিক নবাবজাদা প্রমুখ। দুপুরে গৌতম দাসের বাড়ির আঙিনায় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোসায়েদ হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাসুদ। বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুধিন কুমার সরকার, ভাঙ্গা সরকারী কেএম কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ শওকত প্রমুখ। বক্তারা সাংবাদিকতায় গৌতম দাসের অবদানের কথা স্মরণ করেন। গৌতম দাসকে সাহসী সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, গৌতম দাস অপশক্তির সাথে আপোস করেননি। তার কলমে এ অঞ্চলের বঞ্চিত উপেক্ষিত মানুষের কথা ফুটে উঠেছে। তিনি শাসক শক্তির অপতৎপরতার চিত্র তুলে ধরার কারনেই খুন হন। উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর সমকাল অফিসে খুন হন সমকালের তৎকালীন ব্যুরো প্রধান গৌতম দাস।