সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
উলিপুরে তিস্তা নদীর চরে সবুজের সমারেহ দাগনভূঞা ভূমি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ খুলনায় মাসব্যাপী একুশে বই মেলা শুরু শেখ হাসিনাকে দেশে এনে গণহত্যার বিচার করা ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না-মামুনুর রশীদ মামুন শাহ এমদাদীয়া অটোমোবাইল ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের সনদ বিতরণ গৌরীপুরে ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন দুপচাঁচিয়ায় কিশোর ব্যাটমিন্টনে চ্যাম্পিয়ান সজিদ-সীমান্ত ধনবাড়ীতে ব্রোকলি চাষে সাফল্য, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের জনগণের সেবা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করা একজন ইউএনও “রানীরবন্দরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও দিনব্যাপী সাহিত্য আড্ডা-কবি ও বিশিষ্ট লেখক লুৎফর রহমানের

ঘরে চাল নেই জ্বলে না চুলা উল্লাপাড়ার ৬০ বছরের বৃদ্ধা জমিলা খাতুনের মানবেতর জীবন-যাপন

সঞ্জীব সরকার (উল্লাপাড়া) সিরাজগঞ্জ
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জমিলা খাতুন অবিবাহিত স্বামী সংসার হীন বৃদ্ধা ৬০ বছরের, তার গল্প বলবো। গল্পটি যখন বর্তমানে যুগে হার মানে বাস্তবে দেখা এক অজপাড়া গাঁয়ে অসহায় বৃদ্ধাকে দেখে। জমিলা খাতুন থাকেন পরিত্যাক্ত একটা ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে, ছেঁড়া পলিথিন, প্লাটিকের বস্তা ও ভাঙা টিনের আদলে ঘরের চারপাশের বেড়া দেওয়া। ঘরে চাল নেই, তাই ঠিকমতো চুলাও জ্বলে না। এভাবেই খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূগানগর ইউনিয়নের রাজমান নিচিনপাড়ার নিঃসন্তান বৃদ্ধা ও সহজ সরল অসহায় ৬০ বছরের বৃদ্ধা জমেলা খাতুনের। প্রচন্ড শীতে কোন রকম দিনাপাত করছেন তিনি। স্থানীয় এলাকার মোঃ মোস্তাক সরকার বলেন, উনি একজন অবিবাহিত জমিলা খাতুন স্বামী সংসার না থাকায় কোন রকম ভাবে বোনের বাসায় ঝুপড়ি ঘর দিয়ে বসবাস করছে এবং চোখে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় গ্রামের লোকজনের কাছে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন। যখন কেউ খাবার দেয় না খাবার পেলে না খেয়ে থেকে এ ভাবেই চলছে তার জীবন। তার আছে এক ভাই এক বোন তারাও ছোট খাটো ব্যবসা করে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খায় যতটকু পারে তা দিয়ে সাধ্যমত সাহায্য করে। কিন্তু একজন মানুষের যতটুকু চলার জন্য যতটুকু খাবার ও বাসস্থান পাওয়ার দরকার তারা তা ঠিকমতো দিতে পারে না। তার ভাই বোনের অভাব অনটন থাকায় তাকে পর্যাপ্ত তাকে চিকিৎসা ও খাবার পর্যাপ্ত দিতে পারে না। জীর্ণ শীর্ণ জমিলাখাতুনের এমন করুণ চিত্র চোখে পড়ে। অসহায় জমিলা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে জায়গায় ঝুপড়ি ঘর এটা আমার বোনের জায়গায় তুলে আছি।
বর্ষায় বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে ঝর ঝর কইরা পানি পরে। শীতের সময় লাগে শীত। ভালো মতো ঘর তোলার টাহা পয়সা আমার নাই। একখান সরকারি ঘর পাইলে আমার আর কষ্টো থাকতো না। যে ঘরডায় থাহি তা মানষের টাহায় কোন রকম ঝুপড়ি ঘর তুলে আছি ।
সরকারি ঘর পামু কই! দেবে কেডা। এর আগে মেম্বার চেয়ারম্যানের দুয়ারে দুয়ারে বহুত ঘুরছি। শরীর যখন ভালা আছিলো মানুষের কাম কাইজ কইরা যা জোটে হেই দিয়াই চলেছি এহন আর কামকাজ করতে পারি না তারপর চোখে ছানি পড়ায় ঠিক মতো দেখবার পারি না। হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে শেষ বয়সে ভালো থাকতে পারতাম। বিয়ে না করায় আমার স্বামী সংসার নাই এমনটাই কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন জমিলা খাতুন। তাই সকল মানবিক হৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসার আহব্বান রইলো বৃদ্ধা পাশে এসে দাঁড়ানোর!




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com