মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছের উৎপাদন ৫ থেকে ৬ গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে মৎস্য অভয়াশ্রম পরিযায়ী পাখিরাও আসছে। এটি দেশের জন্য ভালো হচ্ছে। তবে ভালোর মধ্যেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। বিলগুলোতে পলি জমে খনন না করায় নষ্ট হয়ে যাবে। কাজেই প্রকল্প নিয়ে অবিলম্বে কাজ করতে হবে সংস্কারে। তিনি রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের বাইক্কা বিল মাছের অভয়াশ্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এলাকায় ঘুরে, কথা বলে মনে হলো অভয়াশ্রমের ফল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কালচারাল মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না। দেশীয় প্রজাতির মৎস্য রক্ষা করাটা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের অনেক বড় দায়িত্ব। সেদিক থেকে এ নিয়ে অভয়াশ্রম তৈরি ও রক্ষা করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘যারা পাখি শিকার করে যারা আনন্দ পায় তাদের উদ্দেশ্যে হাত জোর করে বলছি আপনারা এ কাজ থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি অত্যন্ত নির্মম অমানবিক কাজ। এতে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্রের ক্ষতি হয়। এটির ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে বন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেব। তবে এটির ব্যাপারে সচেতনতামূলক ব্যবস্থার দরকার আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে অথবা ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো ঠিক করে আমরা একটা নির্বাচন দিতে চাই। প্রধান উপদেষ্টতো ঘোষণা দিয়েছেন। একটা ঘোষণা হলো যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারে। আর যদি পুরো যে সংস্কারগুলি খুব জরুরী সেটা যদি পূরণ না হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলি একমত হয় তাহলে হয়তোবা সর্বশেষ তারিখ হলো ২০২৬ এর জুন। এর বাইরে যাবে না আশা করি। বাইক্কা বিল পরিদর্শণের সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মোহাম্মদ আব্দুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসি, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলী আকবরসহ মন্ত্রণালয় ও মৌলভীবাজারের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।