জেলা শিল্পকলা একাডেমি, দিনাজপুরের প্রযোজনা শামীম শওকত লাভলীর রচনা ও নির্দেশনা “ঈশানে প্রদীপ” নাটকটি মঙ্গলবার রাতে মঞ্চস্থ হলো। গণঅভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে শহীদ মুনীর চৌধুরীকে নিয়ে প্রথমবারের মত জাতীয় নাটোৎসবকে সামনে রেখে ১৫দিনব্যাপী নাট্য প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থী শিল্পীদের নিয়ে “ঈশানে প্রদীপ” নাটকটি দিনাজপুরের নাট্য পিপাসু দর্শকদের পিপাসা মিটিয়েছে। নাট্য নির্যাস থেকে জানা যায়, যান্ত্রিক এই সময় উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলেছে মানুষ। বিরামহীন এই ছুটে চলায় কেউ কেউ পিছিয়ে পড়ছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে নিজের যোগ্যতায় পরিশ্রমের মাধ্যমে। আবার কেউ কেউ প্রকৃত মেধাবীদের পদদলিত করে আত্মীয় সূত্রতায় সুবিধা নিচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। সমাজে নানাভাবে তৈরী হচ্ছে বৈষম্য। এর মধ্যে কেউ কেউ বিদ্রোহী হয়ে উঠে। নিজের অধিকার আদায়ের দাবীতে সোচ্চার হয়। শুরু হয় আন্দোলন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে নিশ্চই একসময় সবকিছু সুন্দর হয়ে উঠবে। প্রশিক্ষনার্থীদের পদচারণায় এভাবেই এগিয়ে চলে ঈশানে প্রদীপ নাটক। এই নাটকে যারা অভিনয় করেছেন তারা হলো- রিতা হেম্ব্রম, শ্যামলী মুর্মু, শাহীন আলম, সামিউল আদনাল সায়ন, কোরাইশা আক্তার স্মৃতি, টংক নাথ অধিকারী, মোঃ রাশেদুজ্জামান রনি, মোঃ সাইফুল ইসলাম, পূর্বা কুন্ডু, মেঘা ঘোষ, উদয়, তাতসিয়া তানজিনা, জয়ন্ত রায়, সাজ্জাদ হোসেন ও প্রিয়ন্ত চন্দ্র সরকার। সহকারী নির্দেশনায় এবং সেট ও লাইট ডিজাইনার ছিলেন তাজউদ্দিন তাজু। কস্টিউম, প্রপস, মিউজিক ও মেকাপে ছিলেন পরিমল কুমার মজুমদার। নাটক শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে দিনাজপুর জেলার সাবেক কালচারাল অফিসার মীন আরা পারভীন ডালিয়া, জলিল আহমেদ, আব্দুল কুদ্দুস তরিত, ড. আশিকা আকবর তৃষা, তারিকুজ্জামান তারেক বলেন, ১৫ দিন নাট্য প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীরা যে নাটক দিনাজপুরবাসীকে উপহার দিয়েছে তা চিরদিন আমাদের স্মরণ থাকবে। প্রশিক্ষনার্থী মেঘা ঘোষ বলেন, নির্দেশক শামীমা শওকত লাভলী আমাদের প্রতি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন বলেই আমরা এত সুন্দর নাটক উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। এই নাটকটি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে মঞ্চস্থ হবে।