দাগনভূঞা উপজেলায় সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে বিষমুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। পরিবেশ বান্ধব এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা পাচ্ছে তেমনি টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে। দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৩ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। এই সকল জমি থেকে ২ হাজার ২৩২ টন টমেটো উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজাপুর ইউনিয়নের সাপুয়া এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলামের টমেটো আবাদিজমিতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবেশবান্ধব সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। জমির ভেতরে গিয়ে দেখা যায় গাছগুলিতে থোকায় থোকায় কাঁচা পাকা টমোটো ধরে আছে। টমেটোর ভারে গাছ মাচান ভেঙে মাঠিতে নুয়ে পড়ছে। গাছ থেকে পাকা টমেটো বাজারে বিক্রয়ের জন্য তুলছেন কৃষক সাইফুল। তিনি বলেন, ‘আমি এই বছর ৫ হাজার টাকা খরচ করে ৬ শতক জমিতে কোন প্রকার বিষ না দিয়ে টমেটোর চাষ করেছি। কম খরচে এই পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করে টমেটোর উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারে এই টমেটোর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার টাকার টমেটো বিক্রয় করেছি। এখনো গাছে যে পরিমানে টমেটো আছে তা বিক্রয় করে প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আয় হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন খবরপত্রকে বলেন, টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। কৃষি অফিস কৃষকদের টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। আমরা সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি।