কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ মোকাবিলার আগে এর ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের খবর দিলেও ডব্লিউএইচও’র জরুরি কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান সতর্ক করেছেন একে কোনও একক জাদুকরী সমাধান হিসেবে দেখা উচিত হবে না। ভ্যাকসিন ছাড়াই দেশগুলোকে আরও এক দফায় ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিকে মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে জানান তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সামনের সারিতে থাকা ওষুধ প্রস্তুতকারক দুই প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানিয়েছে তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর । আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান মর্ডানা জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর। রাশিয়ার দাবি তাদের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।
এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান বলেন, অনেকেই ভুল বিশ্বাসে রয়েছেন যে, কেবল ভ্যাকসিন পেলেই করোনা মোকাবিলা করা যাবে। এমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছেন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সেটিকেই সমাধান বিবেচনা করছেন। কিন্তু আমরা যদি ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান ভাবি, আর অন্য বিষয়গুলো ভুলে যাই তাহলে কোভিড সংক্রমণ বন্ধ হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রায়ান বলেন, ‘আমার মনে হয় যে কোনও জায়গায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শেষ করতে অন্তত চার থেকে ছয় মাস সময় লাগবে।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত কার্যকারিতার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কিন্তু তা হাতের নাগালে আসেনি।
এমন পরিস্থিতিতে অনেক দেশই দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মাইক রায়ান বলেন, ভ্যাকসিন ছাড়াই তাদের এই সংক্রমণের ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, আত্মস্থ করতে হবে আর অনুধাবন করতে হবে: আমাদের এই মুহূর্তে সংক্রমণের চূড়ান্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে হবে, ভ্যাকসিন ছাড়াই।’