গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার জনপ্রিয় সংবাদ পত্রিকা প্রতিদিনের সংবাদ এর প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম আফ্রিদির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ই মার্চ, ২০২৫ তারিখ রবিবার টুঙ্গীপাড়া উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টার দিকে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়, যাতে উপস্থিত ছিলেন টুঙ্গীপাড়া উপজেলার সকল সাংবাদিকগণ। এ সময়, টুঙ্গীপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি শওকত হোসেন মুকুল, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসেন, টুঙ্গীপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, মেহেদী হাসান কালবেলা প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব টুঙ্গিপাড়া সভাপতি তরিকুল ইসলাম,ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল শেখ এবং অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই মানববন্ধনটির মূল দাবি ছিলÍ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত ১০ই মার্চ ২০২৫ সন্ধ্যায় রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির উপর উপজেলার বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হামলা চালানো হয়, এ ঘটনায় সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির মা ১১ই মার্চ বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করে। আসামি গ্রেফতার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা নেই, যা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। উপস্থিত বক্তারা বলেন, এ ধরনের হামলা সাংবাদিকদের উপর বর্বতারাজী এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি আঘাত। টুঙ্গীপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি শওকত হোসেন মুকুল মানববন্ধনে বলেন, আমরা এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং অতি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। টুঙ্গীপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এ ধরনের হামলা আর মেনে নেওয়া যাবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাংবাদিকদের প্রতি এই ধরনের আক্রমণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দেশের আইন-কানুনের প্রতি চ্যালেঞ্জ। কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধী মেহেদী হাসান বলেন, টুংগীপাড়া উপজেলার সকল সাংবাদিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে যেকোনো বিষয় সহযোগিতা করে আসছে, সাংবাদিকদের উপর হামলা এটা মেনে নেওয়া যায় না, অতি দ্রুত সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির উপর হামলাকারীদের কে গ্রেফতার করে সঠিক বিচার করতে হবে। না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টুঙ্গীপাড়া সহ দেশের সকল সাংবাদিক নির্যাতন এর প্রতিবাদে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর সহিংসতা বন্ধ করা এবং মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সরকারের কাছে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি টুঙ্গীপাড়া উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে একাত্মতা এবং নিরপেক্ষতার বার্তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ছিল।