ময়মনসিংহরে ভালুকায় চাচা শ্বশুরের কুপ্রস্তাব, মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী ও স্বামীর বাড়িতে উঠতে না দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মলেন করছেনে হাসনিা খাতুন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতষ্ঠিানরে কক্ষে সংবাদ সম্মলেনটি অনুষ্ঠতি হয়। সংবাদ সম্মলেনে প্রবাসীর স্ত্রী হাসনিা খাতুন বলনে, তার স্বামী উপজলোর চামিয়াদী গ্রারমর জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর ধরে চাকরীর সুবাদে দুবাই আছনে। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। তার চাচা শ্বশুর আব্দুল মোতালেব(৪০) তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ২৯ অক্টোবর সন্ধায় আমার ঘরে ডুকে একা পেয়ে আমাকে ঝাপটে ধরে এবং ধ্বস্তা ধ্বস্তি করে। এসময় আমি ডাকাডাকি শুরু করলে আশপাশরে লোকজন আসার টের পেয়ে তার ছেড়া গেঞ্জি রেখেই তিনি পালিয়ে যান। পরদিন ৩০ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে চাচা শ্বশুর আবার আমার ঘরে একা পেয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ধ্বস্তা ধ্বস্তি করতে চাইলে আমি আমার সম্ভ্রম রক্ষা করতে তার মুখে মরিচের গুড়া ছুড়ে মাির। এসময় সে মাটিতে পড়ে গিয়ে চেচামেচি শুরু করলে মোতালেবের লোকজন এসে আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে উল্টো আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। তিনি আরো বলনে, ওই মিথ্যে মামলার কারণে আমি বেশ কিছুদিন পালিয়ে থাকা অবস্থায় আদালত থেকে জামিনে এসে ১৩ নভেম্বর চাচা শ্বশুর মোতালেব, নজরুল ইসলাম, কামাল মিয়া, জামাল হোসেন, শাহ জালাল, আব্দুল বারেক, ইদ্রিস আলী, আব্দুল কুদ্দুস, নুর জাহান, নুর নাহার ও হেলাল উদ্দিনকে বিবাদী করে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়েরের পর বিবাদীরা আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়ে আসছেন এবং স্বামীর বাড়িতে উঠতে দিচ্ছেন না। তিনি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এবং বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। এ সময় হাসিনা খাতুনের দুই সন্তান, তার বাবা মজিবর রহমান ও স্থাণীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তিসহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই রঞ্জন কুমার ভৌমিক জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরির্দশণ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে পরর্বতী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।