সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

নওগাঁয় ধানের ন্যায্যমূল্য পেয়ে কৃষকরা খুশি

নওগাঁ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০

কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁ। খাদ্য এবং মৎস্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত এই জেলা। বিশেষ করে ধান উৎপাদনে অনেকটাই প্রসিদ্ধ। এই জেলায় উদ্বৃত্ত ধান উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সে ধান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু এই প্রবাদটি ছিল নওগাঁ জেলার জন্য একবোরেই প্রযোজ্য। কিন্তু কিছুদিন আগেও কৃষকরা তাঁদের উৎপাদেত ধানের নায্য মুল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ধান উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। বিগত দু তিন বছর ধরে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের নায্য মুল্য ফিরে পেয়ে পুনরায় ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কুষকদের উৎপাদিত ধানের নায্যমুল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ সেই দিক উন্মোচিত করেছে। চলতি আমন মওসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেন কৃষকরা। পর পর দু’বারের বন্যায় ৫ হাজার ৮শ ৬৫ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্নভাবে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ ৮৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ নিশ্চিত হয়। এর মধ্যে উন্নদ ফলনশলি জাতের ১ লাখ ৬৪ হাজার ২শ ৪৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৭ হাজার ১শ ৮৭ হেক্টর এবং হাইব্রীড জাতের ৩শ ৫৩ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালখ কৃষিবিদ মোঃ মামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন উল্লেখিত পরিমান জমি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯শ ৪৫ মেট্রিকটন চাল উৎপাদিত হবে। ইতিমধ্যে জেলার বাজারগুলোতে আমন ধান বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এসব বাজারে প্রতি মন ধান ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের হিসেব অনুযায়ী বীজ, সার, কীটনাশক, জমিতে চারা রোপন, পরিচর্যা, কাটা ও মাড়াইসহ প্রতি বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি জমিতে এ বছর ধান উৎপাদিত হয়েছে কমপক্ষে ২০ মন হারে। কমপক্ষে ১ হাজার টাকা হিসেবে এই ধানের মুল্য ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় সব খরচ বাদ দিয়ে কুষকরা লাভ করছেন কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা। যেখানে কৃষকদের উৎপাদন খরচ ঘরে তোলা অসম্ভব হয়েছিল সেকানে এখন লাভ করছেন। এর ফলে পুনরায় কৃষকরা ধান উৎপাদনে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অপরদিকে সরকার কৃষকদের ধানের নায্যমুল্য নিশ্চিত করতে মিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকার এ বছর সিদ্ধচাল প্রতি কে জি ৩৭ টাকা, আতপ চাল প্রতি কে জি ৩৬ টাকা এবং ধান প্রতি কে জি ২৬ টাকা দরে ক্রয় করছে। নওগাঁ জেলায় আমন মওসুমে সরকার ৩২ হাজার ২শ ১৭ মেট্রিক টন সিদ্ধচাল, ১২ হাজার ১শ ৭৮ মেট্রিকটন ধান এবং ৩ হাজার ৫ মেট্রিক টন আতপ চাল ক্রয় করবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com