সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

তিস্তার চরে ফসলের সমাহার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন স্বপ্ন বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের চরা লের চাষিরা। জানা গেছে, তিস্তা, ধরলা আর সানিয়াজান নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটের প্রায় অর্ধশত চরা ল রয়েছে। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে জেগে ওঠা এসব বালুচরে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা।
ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের সব সদস্য একযোগে কৃষি কাজে মাঠে নেমে পড়েন। পুরুষদের সঙ্গে পরিবারের নারী সদস্যরাও গৃহস্থলীর কাজ শেষ করে কৃষিকাজে যোগ দেন। চরা লের বালুময় জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলানোই এক মাত্র আয়ের উৎস চরবাসীর। তাই ফসলের ভালো ফলন পেতে দিনভর মাঠে কঠোর পরিশ্রম করেন তারা।
গতবারের বন্যায় আমন ধানের ক্ষেত বন্যা আর ভারী বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। অনেক কৃষকের গোলা শূন্য হয়ে পড়েছে। খাদ্যের যোগান ও সংসারের খরচ মেটাতে বালুময় জমিতে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমে পড়েছেন চরবাসী। চরা লের এসব বালু জমিতে প্রচুর সেচ দিয়ে আলু, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, তামাক, মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজসহ নানান জাতের সবজি চাষাবাদ করেন চরবাসী।
তবে সেচ ব্যবস্থা চরা লের চাষাবাদে সবথেকে বড় সমস্যা। বালু জমি হওয়ায় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ফসলের ক্ষেতে সেচ দিতে হয় চাষিদের। তার ওপর প্রত্যেক চাষির সেচ পাম্প নেই। ফলে ভাড়ায় চালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি পলিথিনের বিশেষ পাইপ দিয়ে প্রতি ঘণ্টা ১০০ টাকা দামে কিনতে হয় তাদের। যা ব্যয়বহুল ও পরিশ্রমের। এভাবেই কঠোর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে স্বপ্ন বোনেন চরা লের চাষিরা। শুস্ক মৌসুমের চাষাবাদে অর্জিত আয়ে বন্যাকালীনসহ বাকি সময় চলে চরবাসীর প্রতিটি পরিবারের সংসার।
তিস্তার চরা ল কালীগঞ্জের চর বৈরাতি গ্রামের মমিনুল আনোয়ারা কৃষক দম্পত্তি বলেন, বাপ-দাদার ভিটে-মাটি সব তিস্তার হিংস্র স্রোতে বিলীন হয়েছে। গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান ছিল আমাদের। বর্তমানে কিছুই নেই। যা আছে সবই ধু ধু বালুর চর। সংসার চালাতে কনকনে শীত উপেক্ষা করেই এই বালু চরে পানি সেচ দিয়ে ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ ও আলুর চাষাবাদ করছি। একই চরের আফজাল হোসেন বলেন, একসময় জমি-জিরাত সবই ছিল। তিস্তা তা কেড়ে নিয়েছে। শীত মৌসমে পানি কমে যাওয়ায় সেই বসত-ভিটার জায়গা আবার জেগে উঠেছে। আর সেই বসত-ভিটায় এখন তাংকু (তামাক) আবাদ করছি। তাংকু বিক্রি করে সারা বছর সংসারের খরচ চালাবো। লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আফরাফ বলেন, এ বছর কৃষিপণ্যের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা কোনো জমি পতিত রাখছে না। তারা নানা কৌশলে তিস্তার চরগুলোতেও চাষাবাদ করেছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com