কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে তিন বছরের গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের কার্প জাতীয় মাছ পুকুরে মজুদ করে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনে পরিণত করা হয়েছে, যেটা দক্ষিণাঞ্চলের চাষিদের জন্য ছিল অকল্পনীয়।
ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক মৎস্য চাষি। অনেকেই নতুন এই প্রযুক্তির মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রযুক্তি উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক পি.এস.টি.ইউ ড. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় স্থানীয় বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কমন কার্প মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে বাজারজাত করতে দক্ষিণাঞ্চলের চাষিদের দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতো। তাও ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের বেশি হতো না। এতে অনেক চাষিই কার্প জাতীয় মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন।’ সুস্বাদু কার্প জাতীয় মাছের চাহিদা তৈরি করতেই এই পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রধান গবেষক।