গতি সেবা ত্যাগ এই তিনটি শব্দ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভবনটি। নির্মান কাজ শেষে ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উদ্বোধনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি এর কার্যক্রম। চিলাহাটির কারেঙ্গাতলী এলাকায় ৩৩ শতক জমির উপর ২০১৭ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কন্সট্রাকশনের কাজ। কাজটি সম্পন্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিসেস খাজা বিলকিস রাব্বি, নীলফামারী। ৪ তলা বিশিষ্ট এই ফায়ার সার্ভিস ভবনের নিচতলায় রয়েছে গাড়ি রাখার স্থান ও ৫টি রুম, ২য় তলায় রয়েছে ২টি রুম, ৩য় তলায় রয়েছে ২টি রুম ও ৪র্থ তলায় স্টাফ কোয়াটার হিসেবে ৪টি রুম। উক্ত কাজে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। চারটি ইউনিয়নের ৮০ হাজার মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য ফায়ার ষ্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জনবল এবং ফায়ার সাভিসের গাড়ী না আসায় কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি। ষ্টেশনটির কার্যক্রম চালু না হওয়ায় স্থানীয়রা অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাইড ইঞ্জিনিয়ার আবু জুয়েল বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভবনটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এখন পানিতে সামান্য পরিমাণ আয়রন পাওয়া গেছে। সিডউলে ভূল থাকায় যে পরিমাণ টাকার কাজ হয়েছে বাকী টাকা সংশ্লিষ্ট দফতরে ফেরত দেওয়া হয়েছে। নীলফামারী ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, কাজের অনেক ভূল পাওয়া গেছে। পানিতে অনেক পরিমান আয়রন রয়েছে। যে পরিমান আয়রন আছে তাতে অল্প সময়ের মধ্যে পানির ট্যাঙ্কি ও গাড়ী নষ্ট হয়ে যাবে। চিলাহাটি ফায়ার সাভিস স্টেশনের জন্য জনবল ও গাড়ী মজুদ আছে। পানি ঠিক করা সহ ভূল কাজ গুলি সঠিক হলেই ফায়ার সাভিস স্টেশনটি চালু করা হবে।