গতকাল রোববার সকাল ১০টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯-এর আসর। এবার ২৬টি শাখায় শিল্পী, কলাকুশলী, প্রতিষ্ঠান ও চলচ্চিত্রকে এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে অভিনয়শিল্পী সোহেল রানা ও সুচন্দাকে। এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে তুলে দিয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী দিন ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে যে সকল সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো চালু করা যাবে। বর্তমানে চালু যে সমস্ত সিনেমা হল আছে সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা যাবে এবং উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে নতুন নতুন সিনেমা হল গড়ে তোলা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব সহসা এ তহবিল চালু হতে যাচ্ছে। এ তহবিল চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী দিনই শুধু নয়, চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব বাজারেও একটি স্থান করে নিতে পারবে।’ ‘কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলায় একটি করে তথ্যকমপ্লেক্স নির্মাণের যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, সেটির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ২৮টি জেলায় তথ্যকেন্দ্র ও সিনেপ্লেক্স নির্মিত হবে। সেগুলো চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’- যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব খাজা মিয়াসহ চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নবীন-প্রবীণ শিল্পী-অভিনেতা ও নির্মাতারা।