২৬ই মার্চ যেখান থেকে শুরু এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ন জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল (বিএনপি) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয় সভার প্রধান অতিথি ও বিভাগীয় আহবায়ক সাবেক মন্ত্রী কেন্দ্রীয় ভাইচ চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আমরা এখন এক দুঃশাষন সরকারের আমলের মধ্যে বেছে আছি। সরকার দেশে এখনের জুলুমের শাষন কায়েম করছে। এই সুবর্ন জয়ন্তীর শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ গড়ার অর্জনকে রক্ষা করার মধ্যে দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে স্বধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন শহীদ রাস্ট্রপতি সেদিন শুধু স্বাধীনতা ঘোষনাই করেননি তিনি রনাঙ্গনের মাঠে থেকে যুদ্ধ করেছেন। বুধবার (২৭ই) জানুয়ারী সকাল ১১টায় বরিশাল নগরীর কাকলী মোড় রোডস্থ সোবহান কমপ্লেক্সের কমিউনিটি হল রুমে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যতে একথা বলেন। বরিশাল বিভাগীয় সুবর্ন জয়ন্তী উৎসবের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্কিযোদ্ধা আবদুস সালাম। এখানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইচচেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী,সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক সংসদ মেজবা উদ্দিন ফরহাদ। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিনা জামান, কাজী রওনক ইসলাম টিপু, নুরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলি লেলিন, হাসান মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্র দল সহ-সভাপতি মামুন খান, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুর রহমান, কের্নল (অবঃ) শাহজাহান মিলন। আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়েদুল হক চাঁন, সাধারন সম্পাদক এ্যাড,আবুল কালপাম শাহিন, পিরোজপুর জেলা সভাপতি আঃ বাতেন,বরগুনা সভাপতি নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠী সভাপতি মোস্তফা মন্টু,ফকরুল ইসলাম আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ সহ বিভিন্ন জেলা নেতৃবৃন্দ। এসময় বিশেষ অতিথি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছালাম বলেন, আওয়ামীলীগ জোড় দিয়ে ২৬ই মার্চ পালন করেনা এই কারনে তারা দেশে ২৫ই মার্চ পর্যন্ত মাঠে ছিল না বলেই ১৬ই ডিসেম্বর পালন করে। আমরা গর্বিত এই কারনে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেদিন শুধু স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে নিজেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার মাধ্যমেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন এদেশে আন্দোলন হয়েছে দুটি ২৫ মার্চ আ,লীগের আন্দোলন অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছে সশ্রস্ত্র আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধে আ,লীগের কোন ভূমিকা সেদিন ছিল না তারা ছিল না মাঠে। তিনি আরো বলেন পার্বত্য চট্রগ্রামে একমাত্র বাঙ্গালীত্ব সৃষ্টি করে ছিলেন। তাই আগামীতে আমাদের নতুন প্রজন্মদের মাঝে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য মুুক্তিযুদ্ধের ৫০বছর স্বাধীনতা জয়ন্তী উপলক্ষে সবার মাঝে প্রচার-প্রচারনা তৈরী করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। এই উপলক্ষে দেশব্যাপি বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছেন তা প্রতিটি বিভাগ,জেলা ও উপজেলা শহরে পালন করা হবে। এব্যাপারে তিন বলেন বর্তমান সরকার যদি মুক্তিযুদ্ধের সরকার যদি স্বাধীনতা বিশ^াষ করেন তাহলে আমাদের কর্মসূচিতে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।