লিপস্টিক ছাড়া সাজের ‘পূর্ণতা’ আসে না। সব নারীর পছন্দের প্রধান প্রসাধনী হলো এই লিপস্টিক। ঠোঁটের সঠিক সাজ ভিন্নতা আনে চেহারায়। শুধুমাত্র ঠোঁটে একটু লিপস্টিক লাগালেই অর্ধেক সাজ হয়ে যায়।
ফ্যাশন সচেতন নারীর অন্যতম আনুষঙ্গ হলো লিপস্টিক। নানান নামী দামী ব্র্যান্ডের লিপস্টিক পাওয়া যায় নারীর ঠোট রাঙাতে। আর সেখান থেকে বেছে লিপস্টিক কিনে রেখে দেন ফ্যাশন সচেতন নারীরা।
লিপস্টিক এক প্রকার প্রসাধনী দ্রব্য যা বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ, তেল, মোম ও ত্বক কোমলকারী পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি হয় এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তা ঠোঁটের সৌন্দর্য বর্ধন করে। লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পাশাপাশি এর অন্তর্নিহিত উপাদানগুলো আপনার ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ রাখবে। তবে কিছুদিন ধরে একটু চড়া রঙের লিপস্টিকই বেশ চলছে, ইদানিং কালচে শেডের রংগুলোও বেশ চলছে। জাম রং, ইট লাল, কফি, বেরি রং, গাঢ় বেগুনি এগুলোও চলছে বেশ।
এ ছাড়া এখনো বেশ জনপ্রিয় ওমব্রে ঢঙে লিপস্টিক। ওমব্রে স্টাইলটা হলো ঠোঁটের চারদিকে গাঢ় রং লাগিয়ে মাঝের অংশে একই রঙের অপেক্ষাকৃত হালকা শেডের লিপস্টিক দেওয়া। অনেকে আবার দুটি রং একসাথে মিশিয়ে দিতে পছন্দ করে এবং এটি দেখতেও খুব সুন্দর লাগে।
এই ঋতুতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট আরো বেশি শুষ্ক করে। তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁট আর্দ্র ও কোমল করার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। তবে এমন আবহাওয়ায় গ্লসি বা ক্রিমি লিপস্টিক লাগানোই ভালো। একটু গাঢ় লিপস্টিক পরার ক্ষেত্রে ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে লাগালে নিখুঁত করে পরা যাবে। লিপস্টিক ব্যবহারের পর যদি তা গাঢ় হয়ে যায়, তাহলে ঠোঁটে একটা টিস্যু হালকা করে চেপে বাড়তি লিপস্টিক তুলে নিতে পারেন। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মুখ ও ঠোঁটের আকৃতির ওপর। লিপস্টিক লাগাতে হবে তার ওপর নির্ভর করেই। কারও ঠোঁট যদি চিকন বা পাতলা হয়, তাহলে লিপলাইনার দিয়ে একটু বড় করে এঁকে নিয়ে লিপস্টিক পরলে ভালো দেখাবে। আবার যদি কারও বড় বা মোটা হয়, সে ক্ষেত্রে ঠোঁট আঁকার সময় ছোট করে ও গোল আকারে এঁকে নিতে পারেন।
দিনের অনেকটা সময় অনেকে লিপস্টিক পরে থাকেন। সেটা হতে পারে প্রয়োজন অথবা শখে। তবে বাইরে থেকে বাসায় ফিরে তুলায় অলিভ ওয়েল লাগিয়ে যত্নসহকারে লিপস্টিক তুলে ফেলতে হবে। যদি সম্ভব হলে একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের চামড়া অনেক নাজুক থাকে, তাই জোরে ঘষা উচিত নয়, আস্তে আস্তে ঘষেই ভালোমতো তুলে ফেলুন।