রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জামালপুর জেলার তিন হাজার প্রান্তিক পরিবারকে উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামপুরে সিডস কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা কে হচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেশবপুরে সংবাদ সম্মেলন চিলাহাটি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের কমিটি গঠন বদলগাছীতে কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ উলিপুরে ইউড্রেনের দুই পাশের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত কালীগঞ্জে সরকারি স্থান থেকে ফুলের হাট স্থানান্তর: বিপাকে প্রতিবন্ধী ইজারাদার পিআইবি,র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো নগরকান্দা ও সালথার সাংবাদিক বৃন্দ গজারিয়া স্বপ্নপূরণে ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন স্কুলশিক্ষক বাবা বরিশালে প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা

টার্গেটবল খেলার নতুন রেফারি ও প্রশিক্ষক হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থী”

বনি ইয়ামিন রাফি, জবি
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বাংলাদেশ টার্গেটবল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে টার্গেটবল খেলার নতুন রেফারি ও প্রশিক্ষক হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থী। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের ফিনান্স বিভাগের মো: ফয়সাল ও ২০১৮-১৯ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ ভূঁইয়া। টার্গেটবল এসোসিয়েশনের রেফারি ও প্রশিক্ষক কোর্স-২০২১ এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমেই তারা এ সুযোগ লাভ করেন।
জানা যায়, টার্গেটবল ভারতের একটি খেলা যা ২০১২ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। টার্গেটবল খেলা নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মরিশাস, বাস্ক, দুবাই এবং উগান্ডা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশগুলিতেও খেলা হয়। টার্গেটবল খেলার প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেশাদার চ্যাম্পিয়নশিপটি ২০১৪ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখন এটি এশিয়া মহাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক টার্গেটবল সমিতির ভারপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে ৮০টিরও বেশি দেশ রয়েছে। টার্গেটবল আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
গেমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, অফিসিয়ালি টার্গেটবল খেলাটি ২০১২ সালে মিঃ সোনু শর্মা তৈরি করেছিলেন। গেমটির উদ্দেশ্য ছিল টার্গেট বলটি টার্গেট রিংয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া। প্রকাশ্যে টার্গেটবল খেলাটি ৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সালে মধুরার শ্রী জি বাবা সরস্বতী বিদ্যা মন্দির বিদ্যালয়ে খেলা হয়েছিল এবং মহিলাদের টার্গেটবল খেলা ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল। মিঃ শর্মা সময়ে সময়ে গেমটিতে অনেক পরিবর্তন করেছেন এবং মিঃ সোনু শর্মাকে “টার্গেটবল খেলার” জনক বলা হয়েছে।
পরিচিতি টার্গেটবল সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার একটি উত্তেজনাপূর্ণ, দ্রুত এবং দক্ষ খেলা। এটি এমন একটি খেলা যার মধ্যে ছয় (৬) জন খেলোয়াড়ের দুটি দল বলটি ধরে রাখতে বা অর্জন করার চেষ্টা করে। দলে দলে দৌড়, লাফানো, নিক্ষেপ করা এবং ধরার মধ্য দিয়ে বলটি তার লক্ষ্য বৃত্তে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করে যেখান থেকে একটি লক্ষ্য অর্জন করা যায়, অন্যদিকে বিরোধী দল এটি রোধ করতে এবং দখল অর্জনের জন্য প্রতিরক্ষামূলক আন্দোলন এবং কৌশল ব্যবহার করে। দলের বেশি সংখ্যক গোলের ম্যাচটি বিজয়ী। মূলত বাস্কেটবল আর হেন্ডবলের সমন্বয়েই এই খেলাটি হয়।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেফারি ও কোচ রিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন এই টার্গেটবল খেলার দল গঠন করার আশা পোষন করছি এবং সম্পূর্ণ নতুন এই খেলার কোচ ও রেফারি হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাব ধন্যবাদ জানায়।
শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস বলেন, টার্গেট বল খেলাটি একদমই নতুন। বাংলাদেশে কিছু দিন আগে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তাদের দুইজনকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর আমরা এই খেলাটিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াঙ্গনে অন্তর্ভুক্ত করবো। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে তারা দুই জন বাংলাদেশ টার্গেটবল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে ২ দিন ব্যাপি টার্গেটবল খেলার প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com