কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষক-কৃষানিরা কমড় বেধেঁ পেটের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন তারা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকরা কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার অন্যরা পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিন চালু করছেন এবং চারা রোপন করছেন। রৌমারী উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১০ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমি। উপজেলা শৌলমারী ইউনিয়নের চরের গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, আমন ধান কাটার পর জমিগুলো ফাঁকা পড়ে আছে তাই দেরি না করে আগাম ধানের চারা লাগাইতেছি। দেড়িতে লাগাইলে জৈষ্ঠ্য মাসে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রৌমারী সদর ইউনিয়নে নওদাপাড়া গ্রামের সৈয়দ জামাল বলেন, গত পনের দিন আগে আমন ধান কেটেছি। আগাম বন্যার পানির ভয়ে কঠিন শীতের মধ্যেও ধান চাষ শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত সার,কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এখন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কোন পরামর্শ দিতে আসেনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১০ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর ও এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমি। এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও কনকনে শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। কনেকনে শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা আপন গতিতে মাঘের শরুতেই বীজতলা রোপন শুরু করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ মাত্রা শেষ করে ফেলবেন বলে তিনি আশা করেন।