জামালপুর জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ ‘মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা মনিকা পারভীন।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জামালপুর প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি একজন উদ্যোক্তা। জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি প্রিন্টআউট করি মাত্র। ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েছি বলে যারা আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তারা মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কাজটি করেছেন। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।’তিনি দাবি করেন, ‘বকশীগঞ্জের অনেক কম্পিউটার দোকানেই ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়া যায়। অভিভাবকেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে স্কুলে জমা দিয়েছেন। পরবর্তীতে অনলাইনে যাচাই করার পর এসব ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ ধরা পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত আছি। আমার বাবা নূর এ মাহতাব হোসেন ২০১২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বোনকে নিয়ে দিনাতিপাত করছি। আমার আয়েই চলছে গোটা পরিবার। আমার এ অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সমাজের কিছু কুচক্রী লোক সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। এছাড়াও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় এবং চাকরিচ্যূত করার হীন মানসিকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি লিখিত জবাব পেশ করেছি। এমনকি মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। বর্তমানে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’সম্প্রতি বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদের বিষয়টি নজরে আসে। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে উদ্যোক্তা মনিকা পারভীন জড়িয়ে যান।