আল-জাজিরার বাংলাদেশ সম্পর্কিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বিশ্বের সামনে রাষ্ট্রের মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব। গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে আসম আবদুর রব বলেন, ‘প্রতিবেদনটি একেবারে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করার সরকারি প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। দীর্ঘ এই প্রতিবেদনে অনেক বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। রাষ্ট্রের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয়ে সরকারকে যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ সুস্পষ্টভাবে খ-ন করে দেশবাসীকে অবহিত করতে হবে। সরকারের উচিত হবে কোন কোন বিষয় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তা সুস্পষ্ট করা। প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে, সংহতি বিপন্ন হতে পারে, এ ধরনের সব কর্মকা- থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।’ আসম রব আরও বলেন, ‘আমরা কোনও অবস্থাতেই প্রজাতন্ত্রকে বিপদগ্রস্ত ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে পারি না। রাষ্ট্রের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা এখন আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক করণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রজাতন্ত্রে আইনের নিশ্চয়তা বিধান করা, সংবিধান সম্মত নির্দেশনার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। সামরিক বাহিনী আমাদের জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অর্থাৎ মাতৃভূমি রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। তাদের সততা, দক্ষতা ও সুনাম রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য জাতীয় স্বার্থেই আবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের বিধান অনুসারে, এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কর্তব্য পরিচালনা করা এখন আমাদের নৈতিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব প্রশ্নে আমাদের ব্যর্থতা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে চরম ঝুঁকিতে নিয়ে যাবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য এবং দুর্নীতি, স্থবিরতা, অচলাবস্থা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির জাগরণের মাধ্যমে জাতিকে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদেরই পালন করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।’