স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “করোনার প্রকোপ প্রতিরোধ করতে হলে করোনা টেস্টিং আরো বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। করোনা লক্ষণ দেখা দিলে মানুষকে তা না লুকিয়ে বেশি বেশি টেস্ট করতে হবে। টেস্টিং কীটস সরকারের হাতে পর্যাপ্ত রয়েছে। আরো কীটস আনা হচ্ছে। টেস্টিং বৃদ্ধি করা গেলে আক্রান্ত মানুষগুলি শনাক্ত হবে ও ভাইরাসটি বেশি ছড়াতে পারবে না।
এক্ষেত্রে তথ্য না লুকিয়ে সবাইকে করোনা টেস্ট করতে এগিয়ে আসতে হবে। ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার ৮’শ ৬৮ টি পরীক্ষা করা হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪০টি পরীক্ষা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আরো ২১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।করোনা রোগী সনাক্ত করতে এই পরীক্ষা সংখ্যা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি করতে হবে।”
আজ ১৫ এপ্রিল দুপুরে নিজ বাসা থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন আপডেট তথ্য প্রচার অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে তথ্য প্রকাশকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
আজকের নতুন ৪ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলেন চিকিৎসক। করোনায় মৃত চিকিৎসকের তথ্য বলতে গিয়ে মন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।মৃত চিকিৎসককে নিজের ভাই এর সাথে তুলনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,”চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে একজন সম্ভাবনাময় চিকিৎসকের মৃত্যু ভীষণ কষ্টের। তাঁর মৃত্যু আমার নিজের ভাই এর মৃত্যুসম কষ্টের।তার মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ গোটা দেশবাসী কষ্ট পেয়েছেন ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে মৃত চিকিৎসকের রূহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ব্রিফিং এ উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত অবস্থায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত অনুদান যত দ্রুততম সময়ে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের নিকট পৌঁছে দেবার কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনলাইন ভিডিও প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র