দৈনিক খবরপত্রের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাসান
রাউজানের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাসান। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হিসেবে চট্টগ্রামের তরুণ-যুব সমাজের কাজে বেশ জনপ্রিয় হাসান গ্রুপ অব কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান? সম্প্রতি তাকে জড়িয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ নানান মহলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে? যদিও পরে সেই পত্রিকাটি একাধিকবার নিজেদের সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে? এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলেন করেন আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি এম কে মনির। তার এই সাক্ষাৎকারটি দৈনিক খবরপত্রের পাঠকদের জন্য পত্রস্থ করা হলো:
খবরপত্র : সম্প্রতিক প্রকাশিত সেই সংবাদের বিষয়ে আপনি আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি কেন?
আলহাজ্ব মোঃ হাসান – আসলে মিথ্যা তো মিথ্যাই। এসব বাধা পেরিয়ে সত্যের জয় হয় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আমি নিজে যেহেতু জানি আমি কতটুকু সৎ, সুতরাং নেতিবাচক সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয় রবং অসত্যকে সত্য দিয়ে খন্ডন করতে চেয়েছি বলেই গতানুগতিক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাই নি? এছাড়া আমি আমার প্রতিটি পদক্ষেপে এটাও স্মরণে রাখি যে আমার ধমণীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্ত প্রবাহিত? এবং আমি মনে প্রাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। সুতরাং কারো দুচার লাইন মিথ্যা অপবাদে আমাকে মুজিববাদের অন্যকোন মতাদর্শের লোক সাজানো কখনোই সম্ভব হবে না? সর্বপরি মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি সবর করেছি, যার প্রতিফল আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন?
খবরপত্র : হঠাৎ আপনাকে এভাবে টার্গেট করে সংবাদ প্রকাশের কারণ কি বলে আপনি মনে করেন?
আলহাজ্ব মোঃ হাসান – আসলে কার কি উদ্দেশ্য সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে? তবে আমার এটা বোধগম্য হয়না যে রাজনৈতিক কারণে সভামঞ্চে কারো চরিত্র হরণের মিথ্যা কথামালা কিভাবে জাতির বিবেকের দর্পনে ছাপা হলো? ন্যূনতম ক্রসচেক করলে এই আষাঢ়ে গল্প কেউই রচনা করতে পারতো না? আর আমাকে উপস্থাপন হয়েছে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রক হিসেবে? অথচ আমি রাজপথে নিবেদিত কর্মী এই পরিচয় ছাড়া সাংগঠনিক কোন পর্যায়ের কোন পদেই নেই? আর আমার সেই ইচ্ছা কখনো ছিলোও না? দলের পদপদবী ছাড়া তাও আওয়ামী লীগের মতন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নিয়ন্ত্রক হওয়া বাস্তবে তো দূরের কথা স্বপ্নেও কারো দেখা সম্ভব না? যদি অল্প কথায় বলি তাহলে আমি মনে করি যেহেতু আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন ভ্যানগার্ড তাই আমাদের মতন কর্মীদের সরিয়ে দিতে অপশক্তিরা নানান কৌশল অতীতেও অবলম্বন করেছে, করছে এবং আগামীতেও করবে? তবে দিন শেষে সত্যেরই জয় হবে?
খবরপত্র : এমন সংবাদে আপনি কি কোন মনোকষ্টে ভুগছেন ?
আলহাজ্ব মোঃ হাসান – দেখুন, আমাকে মিথ্যের কালিমা লেপন করার বৃথা অপচেষ্টায় আমি যতোটানা ব্যথিত, তারচেয়ে বহুগুণ বেশী দুঃখ পেয়েছি আমার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে নিয়ে অবমাননাকর অসত্য কথনে? যদিও ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একাধিক সংগঠন আনুষ্ঠানিক ভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি সেই সকল শুভাকাংখীদের কাছে আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকবো। আর ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রটির মালিক থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতরা একাধিকবার এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে তাই এসব দুঃখ ভুলে আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে চাই?
খবরপত্র : আগামীর রাজনীতি নিয়ে আপনি কি ভাবছেন?
আলহাজ্ব মোঃ হাসান – রাজনীতি নিয়ে ভাবা রাজনীতিবিদদের কাজ। আমি আগেও বলেছি আমি বরাবরই রাজপথের মানুষ? তাই এই মাটি ও মানুষকে নিয়ে ভাবি। যে দেশের পবিত্র মাটি আমার বাবার মতন মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন করেছেন সেই মাটিকে সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্ন নিয়ে আমার ভাবনা? তবে কোন ষড়যন্ত্র বা কারো রক্তচক্ষুর ভয়ে আমি এক বিন্দুও আমার নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না?পরিশেষে কামিনী রায়ের একটি কবিতার কথা বলি? কবি বলেছেন, “করিতে পারি না কাজ, সদা ভয় সদা লাজ। সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,- পাছে লোকে কিছু বলে।” আমি সেই সব পাছের লোকগুলোকে পিছনে ফেলে আত্মমর্যাদা নিয়ে পথ চলেছি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে। আগামীতেও চলবো। আমার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে আমার পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।