ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইদানিং দিনাজপুর জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারের ছোট ছোট দোকানসমূহে অবৈধ বিজ্ঞাপনে সয়লাব হয়েছে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০৪০ সালের মধ্যে ‘বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা’ বাধা গ্রস্থ হবে। তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপণের মধ্যে স্টিকার, ফেয়ার, উইন্ডো এগুলি সাধারণ বিজ্ঞাপণ হিসাবে দেখা গেছে। এর সাথে ক্যাশবাক্স, ঢোপ, প্রমোশনাল স্টিকারসহ নানা ধরণের বিজ্ঞাপণ প্রচারণা অব্যাহত আছে। এই সকল অবৈধ বিজ্ঞাপণ ব্যবহারের মাধ্যমে তামাক কোম্পানীসমূহ প্রধাণত কিশোর ও যুব সমাজকে টার্গেট করছে। তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানী সমূহ নানা কৌশলে আমাদের কিশোর ও যুব সমাজকে ধূমপায়ী হিসাবে তৈরী করতে গ্রামীন জনপদে তাদের মাঠকর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত করছে। শহরে দেখা গেছে শিশুদের কাছেও দোকানদাররা তামাকজাত পণ্য বিক্রি করছে অথচ আইনে বলা আছে ১৮ বছরের নীচে কারো কাছে তা বিক্রি করা যাবে না এবং এ জাতীয় পণ্য কোনভাবে দোকানে প্রদর্শন করা যাবে না। এমতাবস্থায় কোম্পানী গুলো আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের দেয়া একই রং ও ডিজাইনের বাক্স সিগারেটের বাক্সদ্বারা সাজিয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড বসিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা বর্ণিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ঢাকা এর মনোনীত প্রতিনিধি মোঃ ইয়াকুব আলী এর সাথে আলোচনায় জানা যায়, তামাকজাত পণ্যের প্রচারণা কার্যক্রমকে বন্ধ করতে ই-মোবাইল কোর্টেও অভিযোগ দায়ের দেশব্যাপী অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে এবং আইনকে আরও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তামাক কোম্পানী সমূহের প্রচারনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।