সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ১০ টায় বরিশালে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনের প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনের বরিশালের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন সর্ব প্রথম নিজ শরীরে ভ্যাকসিন পুশ করান। ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে যারা করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন তারা হলেন, শেবাচিম কলেজ’র অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহীন, সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন, শেবাচিম’র উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দীন(৫৮), স্বাস্থ্যবিভাগের সহকারী পরিচালক সন্ধা রানী(৫৬) সেবা তত্তাবধায়ক (নার্স) সেলিনা আক্তার(৫৭), সিনিয়র নার্স সাইফুল ইসলাম(৩০) সহ সেবিকা ও সাধারন জনগন। ভ্যাক্সিন গ্রহনের পর অনুভূতি জানতে চাইলে শেবাচিমের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, করোনাকালীন সময়ে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশের ন্যায় বরিশাল শেবাচিমের ডাক্তার, নার্স নিজ জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ১ বছর ধরে সেবা করে যাচ্ছে। তাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভ্যাক্সিন দেশে আমদানি করার পরে চিকিৎসক ও সেবিকাদের অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান। শেবাচিমের সকল চিকিৎসক ও নার্স সহ- সাধারন মানুষকে উৎসাহ প্রদান করতে তিনি প্রথমে নিজ শরীরে এই ভ্যাক্সিন পুশ করিয়েছেন। ভ্যক্সিন নেওয়ার পরে তার কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। ভ্যাক্সিন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবিত সাদিক আব্দুল্লাহ বিভাগীয় শহর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে করোনা ভ্যাক্সিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠানোর জন্য প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ভ্যাক্সিন নিতে আগ্রহীদের মেয়র বিসিসির অতিসত্তর নিবন্ধন করতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন। শেবাচিমের সেবা তত্তাবধায়ক (নার্স) সেলিনা আক্তার(৫৭) ভ্যাক্সিন নেয়ার পরে বলেন, ভ্যাক্সিন নেয়ার পরে তার কোন তাৎক্ষনিক পার্সপতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তিনি জানান করোনাকালীন সময়ে জীবন ঝুকিনিয়ে শেবাচিমের ১ হাজার নার্স রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। অনেকে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা নিয়ে তারা স্বুস্থ্য হয়েছেন ১ জন নার্সও মারা যায়নি। তিনি সকল নার্সদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজ শরীরে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করেন। শেবাচিম হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, পুলিশ লাইন্সে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে প্রথম ধাপে বরিশালের ৮ টি পয়েন্টে নিবন্ধিত ৪২৭ জনের শরীরে করোনা ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে বলে জানান বিসিসির প্রধান স্বাস্থ কর্মকর্তা ডাঃ মতিয়ার রহমান। যার মধ্যে শেবাচিমে ১৮১ জন, সদরে ১২১ জন, পুলিশ ১২৫ জন।