চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল খাস খতিয়ানভুক্ত হিন্দু পাড়া পাহাড়ে বসতবাড়ী সংলগ্ন ৪০ বছরের ফলদ ও বনজ গাছ কেটে তথায় তিনটি হাঙ্গামা ঘর তৈরী করে ভিটাটি জবর দখল করেছে প্রভাবশালী ওয়াসিম মেম্বার। জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় মারধর ও জমি দখলের মামলা করেও কোর্ট আদদালতের কোন সহায়তা না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভিকটিম ভানু প্রভা দে(৫০) ও তার পরিবার। আহত ভানু প্রভা দে(৫০) জানান,চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলাম নগর খাস খতিয়ানভুক্ত হিন্দু পাড়া পাহাড় শ্রেণীর জমি আবাদ করে ৪০বছর ধরে বসত ঘর করে ফলদও বনজ বাগান করে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি বাড়ীর পাশে একটি পোল্ট্রিফার্ম করে সুখে দিন কাটছিল। সম্প্রতি প্রতিবেশী জনৈক হিন্দু যুবক কৈলাশ কান্তি দে(৩৫)র ইন্দনে পার্শ্ববর্তি লক্ষারচর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী মেম্বার মাইন উদ্দিন ফারুক ওয়াসিম(৪০)সহ একদল গুন্ডা বাহিনী তাকে মারধর করে বসতবাড়ী সংলগ্ন ৪০ বছরের ফলদ ও বনজ গাছ কেটে লুট করে পোল্ট্রী ফার্ম ভেঙ্গে দিয়ে তথায় তিনটি হাঙ্গামা ঘর তৈরী করে একে একে ৫০ শতক জমি কেড়ে নিয়েছে। ভিটাটি জবর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধারাবাহিক হামলা ও লুটপাটের বিরোদ্ধে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ চকরিয়া থানায় অভিযোগ, ১৬ নভেম্বর “২০ আবারো চকরিয়া থানায় জিডি, ১৭ নভেম্বর”২০ চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জিডি করেও জবরদখলকারীদের ক্ষমতা ও টাকার মুখে ভিটে মাটি রক্ষায় আইনত কোন সহায়তা পাচ্ছেন না। মারধরে আহত হন ভানু প্রভা নিজেও। নিরোপায় ভানু প্রভা ৩০ ডিসেম্বর” ২১ চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কৈলাশ কান্তি ও মেম্বার ও সন্ত্রাসী মাইন উদ্দিন ফারুক ওয়াসিম (৪০) সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নিয়মিত মামলা করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মামলাটি পিবিআই’কে তদন্তভার অর্পন করেন। এতে আরো বেপরোয়া ওয়াসিম গং ভানু প্রভা’র পোল্ট্রি খামার ভেঙ্গে দখলের চেষ্টায় কেটে নিয়ে গেছে খামার ভিটার মাটি, খামারের সাথে তৈরী করেছে খোলা পায়খানা। এরি মধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আরো একটি আবেদন করেন ভানু প্রভা। কিন্তু একে একে দখল করে সর্বশেষ ভানু’র শেষ সম্ভল পোল্ট্রি খামারটিও দখলে নিতে তৎপর হয়েছে। অরক্ষতি ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগী সমেত খামার ঘর। ইউএনও নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় কাকারা ইউনিয়ন তহশিলদার সাইফুল ইসলাম। তিনি নিজেও সরেজমিনে সন্ত্রাসিদের দখল লুট পর্যবেক্ষন করেছেন। এ ব্যাপারে তহশিলদার সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতার প্রমান পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, কৈলাশ-ওয়াসিম গং একদল সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্র। জমি খাস হওয়ার অজুহাতে কাগজে কলমে আইনত সহায়তা দিচ্ছেন না। বরং কৈলাশ-ওয়াসিম গংয়ের দখলের বিরোদ্ধে মামলা করে পোল্ট্রী খামার ও পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন। জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় মারধর ও জমি দখলের মামলা করেও কোর্ট আদালতের কোন সহায়তা না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিরীহ ভিকটিম ভানু প্রভা দে(৫০) ও তার পরিবার।