বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়ে আটক হওয়া এক রক্তাক্ত ছাত্রদল নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধার করলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য চলাকালে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। বিএনপি সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা শুরু করেন। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের রক্ষা করতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও ব্যাপকভাবে চড়াও হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে আহত হয়ে আটক হওয়া এক রক্তাক্ত ছাত্রদল নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধার করলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এ সময় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বিএনপি’র সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই হট্টগোল শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ করছিল।
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করা হলেও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা শোনেননি। উল্টো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার মধ্যেই সমাবেশের পাশ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে আমি নিজেসহ বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এতে বিএনপির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, বলেন ওসি। পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের হঠাৎ লাঠিচার্জ ও ধাওয়ায় প্রেসক্লাবের বাউন্ডারি গ্রিল ভেঙে কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করে। এতে একজন কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন একজন আহত ছাত্রদল নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শেষের দিকে কে বা কারা ইট ছুঁড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এরপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কর্মী আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।