নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউ টাউন এলাকায় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপি সরকারের নীল নকশায় অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারী রোববার বিকেলে উপজেলার মেঘনা নিউটাউন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফিরোজ্জামান মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, ফাইভ মার্ডারের আসামীরাও এখন মহাজোটে প্রবেশ করেছে। তারা এ দলে এসে মহাজোটের ক্ষমতার প্রভাবে নদী দখল ও স্পীটবোর্ডে সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দিয়ে ভয় ভীতি দেখানো চেষ্টচা করছে। ফাইভ মার্ডারের আসামী যদি মহাজোটে যায় তাহলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করে এ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছি। তারা যদি আওয়ামীলীগেও আসে তাহলে আমরা তীব্র নিন্দা জানাবো। যখন আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কোন চাওয়া বা পাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করি। আমরা নৌকার বিরোধীতা করিনা। নৌকা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করিনা। আমরা রাজপথের সৈনিক। আমরা রাজপথে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। কাউকে মহাজোটে নিতে হলে অবশ্যই আওয়ামীলীগের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ডা. আতিকউল্লাহ, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমেদ, আবু সাঈদ, সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদ, শ্রমিকলীগের কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের সভাপতি মান্নান মোম্বার, মেঘনা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, হাজী আলমচান, শামসুজ্জামান সামছু, লুৎফর রহমান, হাজী সাহাব উদ্দিন প্রধান, মাসুম বিল্লাহ, কামাল হোসেন জনি, বাবুল সরদার, আব্দুল আজিজ প্রমুখ। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় সোনারগাঁও উপজেলা ও পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।