রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির সব শর্ত তুলে নেয়ার দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

একাকীত্বের ৩ বছর পার হয়েছে এ ফেব্রুয়ারিতেই। শর্তের কারণে নিতে পারেননি উন্নত চিকিৎসা। সব মিলিয়ে ভাল নেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গণমাধ্যমকে এমন কথাই জানান দলটির নেতারা। তারা বলছেন, দলীয় প্রধানের মুক্তি ও চিকিৎসার পুরো বিষয়টিই দেখভাল করছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার কাছে যাওয়া ঘনিষ্টজনদের অনেকেই করোনার টিকা নিয়েছেন বলেও জানান তারা। তবে, বিএনপি প্রধান টিকা নেবেন কীনা সেটি তারা জানেন না।
আর একমাস পরেই শেষ হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফার জামিনের মেয়াদ। গেল বছরে ২৫ মার্চ দ- স্থগিত করে সাময়িক মুক্তির পর থেকে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজাতেই আছেন তিনি। এখান থেকে বেরও হননি একটি বারের জন্য। করোনার কারণে চিকিৎসাও হয়নি তার। কিন্তু পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় তার দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে। এমনকি জেলে থাকা অবস্থায়ও বাইরে যাওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু দেশ নেত…বেগম খালেদা জিয়ার এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে এই অযৌক্তিক এবং অমানবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা দরকার।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, শুধু উনার চিকিৎসার ব্যাপার তৌরি করতে গেলে আবার পারমিশন লাগবে। সরকারের পারমিশন লাগবে, আইন মন্ত্রণালয়ের পারমিশন লাগবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পারমিশন লাগবে, অনেক ব্যাপার আছে। সুতরাং উনার মুক্তিই হলো একমাত্র সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য পথ। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত তার চিকিৎসকরাও। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, আমরা সবসময় বলছি বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া উচিৎ। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেগম জিয়ার সাময়িক মুক্তি মিলেছে নির্বাহী আদেশে। তাই পরিববারে পক্ষ থেকে সাড়া পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবী।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিআরপিসির যে সেকশনের আন্ডারে উনার সাজাটা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল সেই সেকশনটাকে ফলো করেই আমরা আশা করছি সময়ের মধ্যেই উনার পরিবার কার্যকরি পদক্ষেপ নিবে। তৃতীয় দফায় বিএনপি প্রধানের মুক্তির আবেদন প্রক্রিয়া ও চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। বেগম জিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি দেখা হওয়া এক নেতা জানান, করোনার টিকা ও চিকিৎসা নিয়ে তিনি ইতিবাচক। তবে এগুলো তার কাছে প্রধান বিবেচনার বিষয় নয়। নিজের চিকিৎসার চেয়েও দেশ-জনগণ ও গণতন্ত্র নিয়েই এখনও চিন্তিত তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com