রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

দশমিনায় তরমুজের বাম্পার ফলন পরিবহণ সঙ্কটে দিশেহারা চাষি

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বিভিন্নস্থানে আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম ক্ষেতের তরমুজ বিক্রিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতোমধ্যে ক্ষেতের তরমুজ পাইকারী ও খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা তরমুজ নিতে আসতে শুরু করেছেন এলাকায়। তবে কৃষকদের দাবি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে ও কাটাখালীর সড়ক সংস্কার নির্মান কাজ চলমান থাকায় পরিবহনে উৎপাদিত তরমুজ উপজেলার বাইরে নিতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। সে কারনে তরমুজের ভাল দাম নিয়ে হতাশও কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী চর ভুভেন্দ্র এলাকায় তালুকদার বাড়ির ৭৫একর জমি ১৭জন চাষি একসোনা ক্রায় করে ড্রাগন তরমুজ চাষ করেছেন। এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজ চাষে চাষিদের প্রতি একরে সার ওষুধে ১০হাজার করে টাকা খরচ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর উপজেলার সাত ইউনিয়নে চরাঞ্চলসহ প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০হেক্টর জমিতে এ রসালো ফলের চাষ করা হয়েছে। ভালো ফলনের আশায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে উপজেলার চাষিরা। ডিসেম্বর থেকেই তরমুজের চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। শীত শেষে এ ফসলটি বাজারজাত শুরু করার কথা রয়েছে। উপজেলার কাটাখালী গ্রামের তরমুজ চাষি মো. কামাল হোসেন জানান, গত বছরে তরমুজে ভালো লাভ হয়েছে তাই এবার দু’জনে মিলে ১শ’ ১৫কড়া জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলের মুখ দেখতে জমি ক্রয় থেকে শুরু করে সার ওষুধে ১লক্ষ ২০হাজার খরচ হয়েছে। ক্ষেতে তরমুজ দেখে মন ভালো লাগলেও হঠাৎ রাস্তায় কাজের কারনে করার কারনে বিপদে আছি। একই গ্রামের তরমুজ চাষি আলাউদ্দিন আকন জানান, আমি ২০কড়া জমিতে তরমুজ চাষ করেছি আর ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালোলাভবান হবো। কৃষকরা আরও বলেন, আমরা কঠোর পরিশ্রম করার পরে ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। আর নিয়মিত সার-কিটনাশক প্রয়োগ, নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, এ উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু কাটাখালী সড়ক পাকা করনের কাজ চলমান হওয়ায় কৃষকের ফল উপজেলার বাহিরে নিতে একটু সমস্য হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com