গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ভ্যানচালক খলিল হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে পৌরশহরের ডুবাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকার প্রধান সড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দীর্ঘসময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রকৌশলী কে.এম গিয়াসউদ্দীনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান শিকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মানিক হাসান মিলু, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম টগর, সম্পাদক রাসেল কবীর, ছাত্রলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম ও নিহতের পিতা নসিম উদ্দীন প্রমূখ। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী কে.এম গিয়াসউদ্দীনের কর্মী ভ্যানচালক খলিল নিহত হন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত খলিলের পিতার অভিযোগ, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খলিল চিহ্ণিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। ওই দিন তিনি খুনের সাথে জড়িত আসামীদের নাম উল্লেখ করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ আসামীদের নাম নিয়ে খুনের মামলা নিতে অস্ব^ীকার করেন। পর দিন ৯ ফেব্রুয়ারি থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামী দেখিয়ে থানায় খুনের মামলা নেন। এমতাবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের পিতা নসিম উদ্দীন টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ২০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে খুনের মামলা রেকর্ডের আবেদন জানান। আর্জির প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: শামসুল আলম ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারার বিধানমতে হলফান্তে বাদীর জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে আদালত এক আদেশনামায় ওই খুনের ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এবং সেই বিষয়ে মামলার সর্বশেষ অবস্থা প্রতিবেদন আকারে জানানোর জন্য গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ২৩ মার্চ সময়সীমা নির্ধারন করে দেন। নিহতের পিতার অভিযোগ চিহ্ণিত খুনিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার সর্বশেষ অবস্থা আদালতকে প্রতিবেদন আকারে জানানো হয়েছে। তবে আইনগত কারনে একই খুনের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা হবেনা। অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানা পুলিশ যে খুনের মামলা নিয়েছে সেটির সাথে আদালতে বাদীর দায়ের করা হলফনামা অভিযোগ আকারে সংযুক্ত করে নেয়া হবে। মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেফতার অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে নজরুল নামক এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃত খুনিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।