শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

বোয়ালমারীর নাইম ১৪শ পিস ইয়াবাসহ আটক

হাসান মাহমুদ মিলু বোয়ালমারী (ফরিদপুর) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার কলারন গ্রামের নজরুল কাজীর ছেলে নাইম কাজী মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি। বাড়িতে দ্বিতল ভবন নির্মাণাধীন। তিনি নিজেকে ঢাকা জজ কোর্টের এক ‘জিআরও-র সহকারী’ বলে এলাকায় পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি ১৪শ পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় আটক হওয়ার পর এলাকায় এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সূত্রাপুর সার্কেলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহাম্মেদ চৌধুরী বাদি হয়ে ঢাকার সূত্রাপুর থানায় সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলারন গ্রামের নজরুল কাজীর ছেলে নাইম কাজী নিজেকে ঢাকা জজ কোর্টের জনৈক জিআরও-র সহকারী বলে পরিচয় দিতেন। প্রকৃতপক্ষে মাদক ব্যবসাই ছিল তার আয়ের প্রধান উৎস। স্থানীয়রা জানান, গ্রামে দুই ইউনিটের একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণাধীন। নাইম কাজীর ষাটোর্ধ বয়সী বাবা একজন নামেমাত্র ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী। আগে মালামাল ফেরি করে বিক্রি করতেন। নাইমের আরেক ভাই উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে চাকরি খুঁজছে। তবে নাইম কাজীর বাবা নজরুল কাজী জানান, তার ছেলে নাইম ঢাকা জজ কোর্টের জনৈক জিআরও-র সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সম্প্রতি দায়েরকৃত একটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্রাপুর সার্কেল অভিযান চালায় ঢাকার সূত্রাপুরের কারকুন বাড়ি লেনের মো. নাইমের ভাড়া বাসায়। এ সময় নাইমের পরিহিত প্যান্টের পকেটে ১৪শ পিস ইয়াবা পাওয়ায় নাইমকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ) ধারায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহাম্মেদ চৌধুরী বাদি হয়ে সূত্রাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এই মামলার পরেই এলাকার লোকেরা নাইমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, নাইম ঢাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজ গ্রামে লোকের মাধ্যমে তা বিক্রি করতেন। এজন্য গ্রামের উঠতি বয়সী তরুণ-যুবকেরা সহজেই ইয়াবার মতো ভয়াবহ মাদক হাত বাড়ালেই পেতো। গ্রামের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে এখন ইয়াবা পাওয়া যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সূত্রাপুর সার্কেলের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরে নাইমকে ১৪শ পিস ইয়াবাসহ আটক করি। এ ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সূত্রাপুর থানায় নাইমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com