স্বাধীনের ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে আজও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠেনি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের এক মুক্তিযোদ্ধা মো: শহীদুল্লাহ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এখন শুধু রাষ্ট্রীয় ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চায় মো: শহিদুল্লাহ। গত ৮ই মার্চ সোমবার সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে মো: শহিদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনকে বাজি রেখে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সংসারের অভাবের তাড়নায় প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়েছি, যখন স্থানীয়পর্যায়ে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে প্রথমে আমার নামটি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমার নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমি বিএলএফ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আমার মুক্তিযুদ্ধের স্থান ছিল বাখরপুর মজুমদার বাড়ি ও কালী ভাংতি। আমাদের অধিনায়ক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, আমার সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ছিলেন সৈয়দ আবেদ মনসুর। এর পরে ছিলেন কবির খান। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মো: শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করলাম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলাম না। শেষ বয়সে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবি, তিনি যেনো আমাকে মৃত্যুর পূর্বে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেন।