নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাড়ালকাটা নদীর পূর্ণখননের এক বছর যেতে না যেতে পূর্বের রুপ ধারন করছ্।ে নদীর খনন কাজ কাজে আসেনি নদীর তীরবর্তী সাধারন মানুষের । নদীতে এখন টাকুনি পানি আবার কোথাও কোথাও হাটু পানি রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়,পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীণে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দে ২৫ কিলোমিটার নদী ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে পূর্ণখনন করা হয়।ঠিকাদার ড্রেজার মেশিন দিয়ে খনন কাজ সম্পূর্ণ করে নদীর দুই তীরে বালু সংরক্ষণ করে। এ সময় শত শত কৃষকের আধাপাকা বোরো ধানক্ষেত নষ্ট হয় । অনেক কৃষক ক্ষতি পূরণের টাকাও পায়নি। ওই সময় বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা তাদের কষ্টের আবাদি ধানক্ষেত নষ্ট করে ফেলায় পরিবারের সদস্যরা জমিতে গিয়ে শুয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন।কিন্তু নদী পূর্ণখননের কাজ কপালপোড়া কৃষকের কোন কাজে আসেনি। এক বছর যেতে না যেতে নদীর পূর্বের রুপ ধারন করেছে। নদীতে এখন টাকুনী পানি আবার কোথাও হাটু পানি রয়েছে। নদীর তীরে সংরক্ষিত বালু গত বর্ষা মৌসুমে ধয়ে নদেিত পরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছে। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা জাহেদুল ইসলাম জানায়, চাড়ালকাটা নদীর উপর আমার দুই -তিন বিঘার জমি। খনন কাজে আমার ১৫ শতাংশ জমি নদীতে গেছে। দুরাকুটি নান্নুর বাজার এলাকার মকুল হোসেন জানায়, নদীর খনন কাজের সময় আমার ২০ শতাংশ জমির বোরো ক্ষেত নষ্ট করে নদী খনন করা হয়েছে। আমাকে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ ক্ষতি পূরণ দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু পরবর্তীতে একটি কানাকড়িও দেয়নি। চাঁদখানা সরঞ্জয়বাড়ী গ্রামের কাশেম আলী ও তৈয়ব আলী জানায় , চাড়ালকাটা নদীর উপর আমাদের ৭ বিঘা জমি আছে। নদী আমাদের জমির মাঝামাঝি যাওযায় দুই তীরে বালু রাখা হয়। ফলে বর্তমানে আমরা ৪ বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ বলেছিলো নদীর খনন কাজ সম্পূর্ণ হলে উপকৃত হবেন । নদীর খনন কাজে আমারা কি উপকার পেয়েছি তা সবাই জানে। সরকারের ৪০ কোটি টাকা একটি বন্যার জলে ভেসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ সাবডিভিশনাল প্রকৌশলী মোফাখ্খারুল ইসলাম জানান , চাড়ালকাটা নদী গড় খনন করা হয়েছিল ২ মিটার কিন্তু এখন হয়ত বন্যার কারণে নাবতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।