মতলব উত্তর উপজেলার ১০নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের জয়নব বেগম নামে এক অসহায় বৃদ্ধার বসতঘরে রাতে আঁধারে আগুন দিয়েছে কে বা কাহারা। এতে বৃদ্ধার একমাত্র থাকার অবলম্বন দোচলা ঘরটি পুড়ে গেছে। গত ১৪ মার্চ দিনগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হিসেবেই নিচ্ছেন বৃদ্ধার প্রতিবেশীরা। ভুক্তভোগী মৃত মহর আলীর স্ত্রী জয়নব বেগম(৭০) বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় রাতে একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের শব্দ কানে বাজে। পরে উঠে দেখি ঘরের সামনের বেড়ায় আগুন জ¦লছে। ডাক-চিকৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে বা কাহারা আগুন দিয়েছে তা দেখিনি। তবে আগুন লাগার পর বের হয়ে দেখি কয়েকজন লোক দৌড়াদৌড়ি করে চলে যাচ্ছে, তাদের চিনতে পারিনি। অসহায় বৃদ্ধা জয়নব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এই ঘরটি ছিল আমার একমাত্র থাকার অবলম্বন। আমার এক মেয়ে স্বামীর সংসার করে আর এক ছেলে জাহাঙ্গীর বউ নিয়ে ঢাকায় থাকে। তার এখন কি অবস্থা হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত অসহায় জয়নব। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় জিডি করার প্রস্তুতি আছে বলেও জানান তিনি। জয়নব বেগমের প্রতিবেশী একই বাড়ির তানজিম রুবেল ও আর্শাদ বলেন, গত (১৪ মার্চ) রাজনৈতিক দ্বন্ধের কারণে দুই গ্রুপে মারামারি হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে। যারাই জয়নব বেগমের ঘরে আগুন দিয়েছে তারা এই ঘরটি পোড়ার মাধ্যমে আমাদের ঘরগুলোও জ¦ালিত দিতো বলে আমাদের ধারণা। কারণ জয়নবের ঘরের পাশেই আমাদের ঘর। তানজিম রুবেল বলেন, গত কিছুদিন আগে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকায় রাস্তার ইট তুলে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। ওই সংবাদটি আমার মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে সন্দেহ করে তারা চেয়ারম্যানের গ্রুপের লোকজন আমাকে দোষারোপ ও চাপ সৃষ্টি করে আসছে। আমার ধারনা, বৃদ্ধার ঘরে আগুন দিলে আমার ঘরে লাগবে, সেই টার্গেট নিয়েই মূলত আগুন দিতে পারে তারা। স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম বলেন, আগুন লাগছে আমি জানতে পেরেছি এবং পরে খোঁজখবর নিয়েছি। গতকাল আমাদের এলাকায় মারামারি হয়েছিল তাই আমি যেতে পারিনি। কিন্তু আগুন কিভাবে লাগছে বা আগুনের সূত্রপাত জানতে পারিনি। তিনি বলেন, গতকালের মারামারি ঘটনা এই আগুনের ঘটনার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ওইটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা।