সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ সরকারি সব নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এ লকডাউন। গতকাল সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার ওয়ারীতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভোজ্যপণ্য বিতরণ কর্মসূচির এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র।
অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। সবাইকে সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে অনুরোধ করব।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘করোনার মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন সবাই মেনে চলবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনে কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর আজ এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। পুরান ঢাকার ওয়ারীর ফকিরচান সরদার কমিউনিটি সেন্টারে অষ্টমবারের মতো পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভোগ্যপণ্য বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজক ‘সেলিম আল মাহমুদ স্মৃতি পরিষদ’। স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরোয়ার হাসান। তিনি সেলিম আল মাহমুদের জ্যেষ্ঠ সন্তান।
সরোয়ার হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, সরোয়ার হাসান সব সময় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি জনগণের কষ্ট উপলব্ধি করেন। গত বছর করোনার সময়েও তিনি ওয়ারী এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আমরা জনগণের পাশে আছি, জনগণের পাশে থাকব, জনগণের সেবা করবএই ব্রত নিয়ে সরোয়ার হাসান যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ কাউন্সিলর সরোয়ার হাসান বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান উপলক্ষে সেলিম আল মাহমুদ স্মৃতি পরিষদ ওয়ারীর ১ হাজার ৫০০ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভোগ্যপণ্য বিতরণ করেছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা বিতরণ করা হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ৫ কেজি পেঁয়াজ, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি মটর ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি বেসন, ৫০০ গ্রাম গুঁড়া দুধ। অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।