সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল করতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন গজারিয়ায় থানা পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে তল্ল্যাসী, যাত্রীবাহি ও পাইভেটকার নিয়ন্ত্রনে একাধিক টিম কাজ করছে মহাসড়কে। পন্যবাহি যানবাহন ছাড়া যে কোন যানবাহন মহাসড়ক পার হলে হলে জবাবদিহিতা করতে হয় পুলিশকে। প্রয়োজনীয় কারন দশাতে না পারলে ফিরে যেতে হয় পূর্বের স্থানে। তবে, প্রয়োজনীয় আইডি কার্ড ও নিদিষ্ট কারন দশাতে পারলে পারমিশন মিলে গন্তব্যের। এ ব্যাপারে গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি রইস উদ্দিন বলেন, করোনা মোকাবেলায় হাইওয়ে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সব সময় কাজ করে আসছে। সরকারের লক ডাউন বাস্তবায়নে আমাদের একাধিক টিম হাইওয়ের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারপরও সরকার ঘোষিত লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে আমরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে মহাসড়ক দিয়ে পার হতে দিচ্ছি না। মুভমেন্ট পাশ অথবা আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে কার প্রমানাদি দিতে পারলে তাকে ছাড় দেয়া হয়। এছাড়া আমরা অসচেতন নাগরিকদের মাঝে মাস্ক বিতরন ও মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করছি। যতদিন সরকার লকডাউন ঘোষনা থাকবে ততদিন গজারিয়ায় থানা পুলিশ কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। গজারিয়া থানা তদন্ত ওসি তানভীর হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে লকডাউনের পঞ্চম দিনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়ায় ভবেরচর চেকপোস্টে দায়িত্বপালকারী সার্জেন্ট আলআমিন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী পরিবহনের জন্য বাস বা সিএনজি ভাড়া করেছেন। এসব যানবাহনের পাস রয়েছে। তবে কিছু কিছু গাড়ির চালক নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মী পরিবহনের পর সুযোগ পেলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাধারণ যাত্রী পরিবহন করছেন। এমন কাউকে শনাক্ত করতে পারলেই তাদের জরিমানা করছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। এই সার্জেন্ট আরো জানান, চেকপোস্টগুলোতে তারা প্রতিটি যানবাহন পরীক্ষা করছেন। যাত্রীদের মুভমেন্ট পাস রয়েছে কীনা যাচাই করছেন। অনেকের মুভমেন্ট পাস ছাড়াই হাসপাতাল বা টিকা দিতে যাচ্ছেন। এমন যাত্রীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা ছেড়ে দিচ্ছেন। যারা অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন তাদের ঘরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ‘এর মধ্যে যাদের পাস নেই তাদের জরিমানা করা হচ্ছে’ ও গাড়ির কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি।