সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

চাঁদে নামার অবতরণযান তৈরি করবে স্পেসএক্স

আইটি ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের আগামী চন্দ্রাভিযানের সময় যে অবতরণযানটি মানুষ নিয়ে চাঁদের বুকে নামবে – তা নির্মাণ করার দায়িত্ব দিয়েছে নকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের রকেট নির্মাতা কোম্পানি স্পেসএক্স-কে। এ দশকের শেষ দিকে আর্টেমিস নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা । এতে নভোচারীদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন যিনি হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম নারী। ওই অভিযানের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদে অবতরণকারীদের মধ্যে একজন অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী রাখা।

স্পেস এক্স যে চন্দ্রযানটি তৈরি করবে তা তাদের ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযানের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে। এই স্টারশিপ এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নাসার সাথে স্পেসএক্সের এই চুক্তির মোট মূল্য হচ্ছে ২৮৯ কোটি ডলার।
এই চন্দ্রযানে কি থাকবে? ইলন মাস্কের কোম্পানি বহুদিন ধরেই স্টারশিপ নামের মহাকাশগামী রকেট-যান তৈরির কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কল্পবিজ্ঞান কাহিনিগুলোতে যে ধরনের গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়ানো মহাকাশযানের কথা বলা হয় – সেই ভাবনা থেকেই এই স্টারশিপ তৈরি হচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য মঙ্গলগ্রহে মানুষেরিআবাস প্রতিষ্ঠা। এ যানটি মূলত চাঁদের কক্ষপথে থাকা মূল মহাকাশযান থেকে নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে নামানো এবং সেখান থেকে আবার মূল যানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার কাজটি করবে।
এতে থাকবে একটি কেবিন – আর দুটি “এয়ার লক”, যার মাধ্যমে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে হাঁটাচলার জন্য বেরুতে পারবেন। এর নাম হবে এইচএলএস – বা হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম। ১৯৬০ ও ৭০ দশকে যেসব “লুনার মডিউল” দিয়ে নভোচারীরা চাঁদের বুকে নেমেছিলেন – তার চাইতে এই এইচএলএস হবে অনেক উন্নত মানের। লুনার মডিউল ছিল আকারে অনেক ছোট। তাতে দুজন নভোচারীকে ঠাসাঠাসি করে বসতে হতো। এভাবেই ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত মোট ১২ জন নভোচারী চাঁদে নেমেছিলেন। স্পেসএক্সকে নাসার এই কাজ পাবার জন্য বেশ কয়েকটি কোম্পানির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হয়েছে। এর মধ্যে ছিল আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, লকহীড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্যান এ্যান্ড ড্রেপার, এবং ডাইনেটিক্স।
স্পেসএক্স-এর বাণিজ্যিক উপগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ সম্প্রতি বিপুলভাবে সফল হয়েছে। তবে তাদের স্টারশিপ মহাকাশযানের কিছু মনুষ্যবিহীন প্রোটোটাইপ উড্ডয়নের পর অবতরণ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com