শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি করেন মামুনুল-তার ভাইসহ আসামিরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

রিমান্ড আবেদনে পুলিশের এসআই নসাজেদুল হক বলেন 

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার ৭০-৮০ জন ছাত্র মামলার বাদীসহ অন্যান্যদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়। এসময় বাদীকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল, নগদ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ড ও একটি মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে যান তারা।
গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নসাজেদুল হক রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন।
আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টায় আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের মসজিদে আমল করতে নিষেধ করেন। তাদের ধর্মীয় কাজে আঘাত করে ও মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন আসামিরা। বাদী প্রতিবাদ করলে মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে মাদ্রাসার আরো ৭০-৮০ জন ছাত্র বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে। আসামি ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আসামিদের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মসজিদের ভেতরে শুয়ে পড়েন বাদী।
এরপর আসামিরা বাদীর কাছে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর একটি মানিব্যাগ নিয়ে যায়। বাদীকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় আসামিরা।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, আসামির (মামুনুল হক) বিরুদ্ধে মামলায় জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। আসামি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু মুসলমান ও মাদ্রাসার ছাত্রদের উস্কানি দেয়। আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও অন্যান্য আসামিদের চেনেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও তাদের গ্রেফতারসহ চোরাই মাল উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে এবং অপর আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আসামি মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৯ মিনিটে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়। সেখান থেকে এজলাসে নেয়া হয়। পরে শুনানি শেষে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি ও ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগের অভিযোগ এনে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোহাম্মদপুর থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। উল্লেখ্য, রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিতে ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com