রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই রোজা পালন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ফখরুল বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখন কোয়ারেন্টাইনেই আছেন। যেহেতু গোটা জাতি ‘শাটডাউনে’ আছে, চলাচল এবং সব কিছুই বন্ধ।
তিনি বলেন, ‘উনি ওনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসাধীন আছেন এবং এভাবে কোয়ারেন্টাইনে থেকে তিনি রোজা পালন করবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ, নাতনিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন, কোরআন তেলাওয়াত, তজবিহ পাঠসহ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
গত ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন অসুস্থ খালেদা জিয়া। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ওই ১৪ দিন শেষ হওয়ার পর এখনও তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আসলে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতাটা পূর্বের ন্যায়ই আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়তো একটু ভালো থাকেন, আবার কালকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থেরাপি দেয়া হচ্ছে। ওনার ডায়াবেটিস বেশ অনিয়ন্ত্রিত।’
‘ম্যাডাম বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ও পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন’- বলে জানান তিনি।
গুলশানের ‘ফিরোজা’র গেটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধু চিকিৎসক ও কয়েকজন নিকট আত্মীয়স্বজন বাসায় প্রবেশাধিকার রয়েছে।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র