শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ঔপনেবিশিক শক্তির অমানবিক, অন্যায় ও চাপিয়ে দেয়া কঠোর শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সংগ্রামে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদানের কথা কোনোদিনই ভুলবার নয়। গতকাল সোমবার শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেরে বাংলা ছিলেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী একজন মহান ব্যক্তিত্ব। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে তার অবদানের গুরুত্ব অপরিসীম। এদেশের কৃষক সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন তার একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এসময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে তিনি (শে রে বাংলা) এদেশের মানুষকে যে দীক্ষা দিয়েছিলেন সেটির পথ ধরে চলতে গিয়েই আমরা বিশ্ব দরবারে এখন সাহসী জাতি হিসেবে বিবেচিত। দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। এসময় তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রথিতযশা বাঙালি এই রাজনীতিবিদ ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ: অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের এই দিন ( ২৭ এপ্রিল) তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ হিসেবে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কূটনীতিক ও রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি বাংলার বাঘ এবং হক সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তিনি কলকাতার মেয়র, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, গভর্নর এবং পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৯ টায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।