গোপালগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন মসজিদ ‘জামে মসজিদ’। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এস এম মডেল স্কুলের পার্শ্ববর্তী এই মসজিদটি শহরের একটি প্রাচীন মসজিদ। ১৯৪৭ সালে এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন এই মসজিদের উদ্বোধন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে অবস্থিত এই মসজিদে বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান নামাজ আদায় করেছেন বলে সমর্থিত বেশ কয়েকটি সূত্র হতে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ছাত্রজীবনে এই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত এই মসজিদটি প্রশাসনের ও স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছিল। দ্বিতলবিশিষ্ট এই মসজিদে পাঁচ শতাধিক লোক একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে রয়েছে সুউচ্চ মিনার। এছাড়া প্রাচীন নির্মাণশৈলী এই মসজিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয় মুসল্লি মিজানুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং তার বাবার স্মৃতি বিজড়িত এই মসজিদটি গোপালগঞ্জের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদ। এই মসজিদে নামাজ আদায় করে আমরা গর্ববোধ করি।’
মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নব্বইয়ের দশক থেকে আমি এই মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এটি গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদ। এই মসজিদের ইমাম হতে পেরে আমি গর্বিত।’