শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বালুচড়া এলাকায় নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ্রের বাড়িতে আগুন দিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আগুন দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি উড়ো চিঠিতে চাঁদা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। শরীয়তপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর বালুচড়া গ্রামে সোমবার দিবাগত রাত অনুমান ২টায় উত্তম চন্দ্র চন্দ’র লাকড়ি ঘরে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। এ সময় বাড়ির শ্রী শ্রী স্বরসতী মন্দিরে ভাঙচুর এবং শ্রী শ্রী শীতলা মন্দিরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শীতলা মন্দিরে হাতে লেখা ৪টি উড়ো চিঠি রেখে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঐ চিঠিতে লেখা হয়েছে, তোরে শেখ হাসিনায় বাঁচাইতে পারবে না। বিজয় বাড়ি করলে জীবনে শেষ করিয়া দিমু, তোরে শেখ হাসিনায় বাঁচাইতে পারব না। উজ্জল ৬ লক্ষ টাকা দিবি। উত্তম ৫ লক্ষ টাকা দিবি। শ্যামল ১০ লক্ষ টাকা দিবি। বি, রা, রা, এই চারালরা, এই দেশ থেকে চলে যা, না গেলে মেরে ফেলব। পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই শরীয়তপুর পৌর মেয়র পারভেজ রহমান জন ও পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে উত্তম চন্দ্র চন্দ বলেন, রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, আগুনের টের পেয়ে বাইরে বের হয়ে দেখি আমাদের ঘরে আগুন। প্রতিমা ভাঙা, পরে সবাইকে জানালাম। শীতলা মন্দিরে গিয়ে চারটি চিঠি পাই, চিঠিতে টাকা চাদা চাওয়া হয়েছে এবং দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এ বিষয়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, সারাদেশেই এখন ধর্মান্ধ মৌলবাদী গ্রুপ সক্রিয়। সারাদেশেই এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড করছে। আপনারা জানেন জঙ্গীবাদের নেতা মামুনুল হক গ্রেফতার। সে সহ এ সব ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, অচিরেই তা দেশবাসী দেখবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ওসি সাহেব তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে। শরীয়তপুর পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।