কুমিল্লা ইপিজেডের একটি চাইনিজ কোম্পানির এইচআর খায়রুল বাশার সুমন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার একটি টিম নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মৃত আবদুল হকের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে- কুমিল্লা ইপিজেডের সিং সাং সু নামে চাইনিজ কোম্পানি থেকে তার কয়েক সহযোগী চাকুরীচ্যুত হওয়ার রেশ ধরে পরিকল্পিতভাবে কোম্পানির সিনিয়র এইচআর খায়রুল বাশার সুমনকে তারা হত্যা করে। কিলিং মিশনে তাদের কিশোর গ্যাংয়ের ৭/৮ জন অংশ নেয়। এবিষয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরও জানান, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলে এসে মহিউদ্দিন প্রথমে খায়রুল বাশার সুমনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার সহযোগীরাও ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শুক্রবার ভোর রাতে তাকে নগরীর পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে র্যাব কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিনকে মামলার তদন্ত সংস্থা জেলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে খায়রুল বাশার সুমন তার কর্মস্থল থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইপিজেডের প্রধান গেইটের অদূরে রোসা সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে মহিউদ্দিন ও তার সহযোগী রাফিসহ অন্যান্যরা তাকে এলোপাড়ারি পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের মতিন মাস্টারের ছেলে। পরদিন নিহতের ভাই খায়রুল এনাম বাদী হয়ে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মহিউদ্দিন(২২), রাফি(২০)সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করছে জেলা ডিবি।