গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ৫৬৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৬৭। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৫ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬৮। মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা।
২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৬২৬টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৯৬৫টি নমুনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যারা দেশবাসীর পাশে বিভিন্ন দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তথ্যমতে, দেশের ৬৪ জেলার ৬২টিতেই করোনা রোগী পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়। যেখানে মোট রোগীর প্রায় ৭৩ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার চার জেলার মধ্যে পর্যাক্রমে সংক্রামণে হার বেশি নায়ারণগঞ্জে। এরপর রয়েছে গাজীপুর। গাজীপুরের পর সংক্রামণের হারে এগিয়ে কিশোরগঞ্জ এবং চতুর্থ জেলা নরসিংদী।
ঢাকা সিটির যেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে:
১) রাজারবাগ
২) মোহাম্মদপুর
৩) লালবাগ
৪) যাত্রাবাড়ি
৫) বংশাল
৬) চকবাজার
৭) মিরপুর
৮) উত্তরা
৯) তেজগাঁ
১০) মহাখালী
আজ ২৯টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন যুক্ত হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ। এছাড়া বেসকারি হাসপাতালের মধ্যে অ্যাপেলো হাসপাতালের পরীক্ষার তথ্য আজ সংযুক্ত করা হয়েছে। আরো বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হবে। তবে, তাদের শর্তসমূহ যথাযথ পূরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। মারা গেছেন দুই লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ১০ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এমআর