সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

সরকার করোনার টিকা আনতে ব্যাপক তৎপর : জুনে আসছে ফাইজারের টিকা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ মে, ২০২১

আগামী জুন মাসে দেশে ফাইজারের টিকা আসছে। ২ জুন ফাইজার থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন সংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। মাইদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন জুনের ২ তারিখে গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাঠাবে বলে আজ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকা ব্যবহার হয়ে আসছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এই টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ১ কোটি ২ লাখ ডোজ। ভারত সরকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে সেরাম থেকে টিকা পাওয়া এখন অনিশ্চিত। প্রথম ডোজ নেওয়া অন্তত ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ফাইজার। কিন্তু এটির পরিবহন ও সংরক্ষণ অনেক জটিল ও ব্যয়বহুল। ফাইজার ভ্যাকসিনের বর্তমান সংস্করণ মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। এর ফলে বিশেষ যন্ত্রাংশ সম্বলিত ভ্যাকসিন কেন্দ্র ছাড়া এগুলো প্রয়োগ করা যায় না। তবে গত মাসে কোম্পানিটির সিইও আলবার্ট বৌরলা জানান, ভ্যাকসিনের নতুন একটি সংস্করণ আনা হচ্ছে সাধারণ ফ্রিজারে রাখা যাবে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত বছরের ২ ডিসেম্বর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। জানুয়ারিতে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কোম্পানিটির দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে ভ্যাকসিনটি মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে ৯৫ শতাংশ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। আর ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর এটি শতভাগ কার্যকর। মে মাসের শুরুতে কানাডায় শিশুদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কানাডার কাছে টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ: কানাডার কাছে ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার (১৮ মে) কানাডার রাষ্টদূত বেনোয়া প্রিফনটেইনের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন টিকার বিষয়ে আলাপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার রাষ্ট্রদূতকে জানান, ভারতের সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের চুক্তি হলেও তারা ঠিকমতো সরবরাহ না করার কারণে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছেÍ ১৬ লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া। কানাডা যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেÍ তাদের কাছে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার অতিরিক্ত টিকা তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দিতে পারে। সে কারণে কানাডা যেন ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দেয়।’ কানাডার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরোধ করেন, কানাডা টিকা সরবরাহ করলে সেটি যেন সরাসরি বাংলাদেশকে সরবরাহ করে, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে নয়।
জয়শঙ্কর-মোমেন ফোনালাপ, টিকা পাঠানোর অনুরোধ: বাংলাদেশে শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠানোর জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) টেলিফোনে আলাপকালে ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। এসময় ড. মোমেন ভারতে ঘূর্ণিঝড়সহ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এছাড়া মৃতব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ড. মোমেন বলেন, ‘ভারত যেহেতু সময় মতো টিকা দিতে পারেনি, সেজন্য বাংলাদেশকে দ্রুত টিকা পাঠানোর জন্য তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। এস জয়শঙ্করও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরাধ করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক এ এফ এম হকের নেতৃত্বে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপকসহ সেদেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্তরের ১০১৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সই করা একটি আবেদন হোয়াইট হাউজে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমানও বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজকে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে। কারণ, হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, তারা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। যেসব দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি সেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com