শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
চিতলমারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রাণ নাশের হুমকি : থানায় জিডি গজারিয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চমক দেখালেন মীনা খাগড়াছড়িতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান আজিজ উদ্দিন বগুড়া ও জয়পুরহাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদে বিজন কুমার চন্দরকে বিজয়ী ঘোষণা ডিমলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মেলান্দহে দুগ্ধ সমবায় প্রকল্পের সদস্যদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ গলাচিপায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ তারাকান্দায় অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিএনপির ত্রাণ নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় গলদা চিংড়ি পোনা ধরার মহোৎসব

হাবিবুর রহমান সবুজ লক্ষ্মীপুর:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় অবাধে চলছে গলদা চিংড়ি ধরার মহোৎসব। এতে ধ্বংস হচ্ছে নদী ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। আর অস্থিত্বের সংকটে পড়েছে গলদা, ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে করে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। আর এজন্য সরকারি নজরধারীর অভাবকেই দুষলেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, প্রভাব দেখিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্যজীবীরা প্রকাশ্যে গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ ও বিক্রি করলেও, কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। ২০০০ সাল থেকে দেশের উপকুলীয় এলাকায় চিংড়ি পোনা আহরণ নিষিব্ধ করে সরকার। সেই থেকে উপকুলীয় এলাকায় সারা বছর গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ নিষিদ্ধ থাকলেও সে নিষেধাজ্ঞা মানছেন না কেউ। প্রশাসনের নজরধারীর অভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর সদরের বুড়ির ঘাট, কমলনগরের মতিরহাট, সাহেবের হাট ও রামগতি উপজেলার চরগজারিয়াসহ মেঘনার নদীর বিস্তৃর্ণ উপকূল এলাকা জুড়ে অবাধে চলছে গলদা চিংড়ি পোনা ধরার মহোৎসব। এ পোনা অতি ক্ষুদ্র হওয়ায় তা ধরতে যে জাল ব্যবহার করা হয়, তাতে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতের মাছের পোনাও। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের শিশু কিশোরসহ মৎস্যজীবিরা এ পোনা ধরার উৎসবে নেমেছেন। এপ্রিল-জুন এ তিন মাস মেঘনার উপকূলীয় অঞ্চলে গলদা সহ বিভিন্ন প্রজাতির রেনু অবস্থান করে এবং জোয়ারের সাথে এসব রেনু পোনা পাড়ে চলে আসে। আর এ সুযোগে অসাধু এক শ্রেনীর মৎস্যজীবি জেলেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গলদা চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে নদী ও সামুদ্রিক প্রজাতের বিভিন্ন পোনা নিধন করছেন। এতে ধ্বংস হচ্ছে প্রায় তিন শতাধিক নদী ও সামুদ্রিক প্রজাতির রেনু পোনা। পানা শিকারিরা জানান, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় অনেকটাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এই পেশাটি বেচে নিয়েছেন তারা। কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকার মৎস্যজীবি ফারুক জানান, ছেলে মেয়েদের খাবার যোগাতে পেটের দায়ে তারা নিষেধ থাকা সত্বেও গলদা চিংড়ি পোনা ধরছেন। সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। একই উপজেলার কটরিয়া ও তালতলি ঘাট এলাকার কামরুল, আলাউদ্দিন ও শফিকসহ কয়েকজন জেলে জানান, আমরা নদী ভাঙ্গা মানুষ, আমাদের বাড়ী ঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমরা এসময় গলদা চিংড়ি না ধরলে খামু কেমনে?। জীবন বাঁচাতে আমাদের ছোট ছোট পোলাপাইন (ছেলে-মেয়ে) ও নদীতে নামছে। স্থানীয়রা জানান, বাজারে প্রতিটি গলদা চিংড়ি পোনা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই টাকা ধরে। মহাজনরা অগ্রিম ঋণ দিয়ে এসব জেলেদের পোনা শিকারে অতিউৎসাহী করে তুলেছেন। অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা শিশু কিশোরদেরও ব্যবহার করছে এ কাজে। এতে করে বিলুপ্ত হতে চলেছে বিভিন্ন প্রজাতের মাছের পোনা। কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকার মৎস্যজীবি ফারুক জানান, ছেলে মেয়েদের খাবার যোগাতে পেটের দায়ে তারা নিষেধ থাকা সত্বেও গলদা চিংড়ি পোনা ধরছেন। সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। একই উপজেলার কটরিয়া ও তালতলি ঘাট এলাকার কামরুল, আলাউদ্দিন ও শফিকসহ কয়েকজন জেলে জানান, আমরা নদী ভাঙ্গা মানুষ, আমাদের বাড়ী ঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমরা এসময় গলদা চিংড়ি না ধরলে খামু কেমনে?। জীবন বাঁচাতে আমাদের ছোট ছোট পোলাপাইন (ছেলে-মেয়ে) ও নদীতে নামছে। এদিকে, অবাধে গলদা পোনা ধরার কথা স্বীকার করে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের কারণে নদী থেকে পোনা ধরা বন্ধ করা যাচ্ছেনা। পোনা আহরণ বন্ধে প্রয়োজনে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। তবে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা গেলে পোনা আহরণ যেমন বন্ধ হবে, তেমনি বাড়বে নদী ও সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন, এমনটাই মনে করছেন সপরিবহনের বিষয়ের সাথে তিনি জড়িত নন। এবিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ডের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি। এদিকে, অবাধে গলদা পোনা ধরার কথা স্বীকার করে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের কারণে নদী থেকে পোনা ধরা বন্ধ করা যাচ্ছেনা। পোনা আহরণ বন্ধে প্রয়োজনে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। তবে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা গেলে পোনা আহরণ যেমন বন্ধ হবে, তেমনি বাড়বে নদী ও সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লি¬ষ্টরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com