মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের নন্দরানী চা বাগানের কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে চলাচলের রাস্তার গেইট বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ১২ টি গ্রামের হাজারো মাুনষ। রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার কৃষি পন্য উৎপাদনকারী বাগান মালিকরা। তাদের উৎপাদিত আনারস, লেবু, কাঁঠাল, কলা, নাগা মরিচ ইত্যাদি কৃষি পন্য পরিবহনে বাঁধা সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এতে করে বাগান মালিকরাল তাদের উৎপাদিত পন্য ক্ষতি হওয়ার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বাগান কর্তৃপক্ষের এমন আচরনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তারা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি সমাধানের দাবী জানিয়েছেন। সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, নন্দরানী চা-বাগানটি পড়েছে কমলগঞ্জ উপজেলায়। পার্শবর্তী শ্রীমঙ্গল উপজেলার জঙ্গল বাড়ি, হোসনা বাদ, বিলাশ ছড়া, হোসনাবাদ ৬ নং ১১নং ও ১২ নং খাসিয়া পুঞ্জি,মহাজিরাবাদ, বিষামনী, বালিশিরা খাসিয়াপুুঞ্জি, রাধানগর ডলোবাড়ি, বেগুন বাড়ি দিলবর নগরসহ ১২টি গ্রাম রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একটি স্কুল।ওই পাহাড়ি এলাকায় এসব গ্রামের মানুষজন পাহাড়ে লেবু ,আনারস, নাগামরিচ, কাঁঠাল, পান ইত্যাদি চাষাবাদ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নন্দরানী চা বাগানের ভিতরের রাস্তা দিয়ে ওই এলাকার মানুষজন তাদের উৎপাদিত ফসলাদি ও নিজেরা চলাচল করে আসছে। রাস্তার সম্মুখে চা বাগান কৃর্তপক্ষ একটি গেইট তৈরী করেছিল। ওই গেইট দিয়েই প্রতিদিন শত শত এলাকাবাসী যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বুধবার ২৬ মে সকাল থেকে মুল গেইটে তালা মেরে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে নন্দরানী চা বাগান কৃর্তপক্ষ। আসা- যাওয়া বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন লেবু ও আনারস চাষীরা। লেবু ও আনারস বাগান মালিক আবু সাঈদ ও আব্দুল হান্নান বলেন,নন্দরানী চা-বাগান কর্তৃপক্ষ রাস্তার গেটে তালা দেয়ায় ফসলের বাগানে আসা-যাওয়া এবং উৎপাদিত ফসল কেটে বাজারে নিতে সংকটে পড়েছেন। পন্য বাজারে সময় মতো নিতে না পারায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও জানান।তারা দাবী করে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটি ব্যবহার করছি,যদিও বাগানটি অন্য উপজেলার তারপর ও আমাদের দাবী প্রশাসন অতি দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসবেন। অপর দিকে বাগান কর্তৃপক্ষ জানান, রাস্তাটি তাদের নিজস্ব, তাই তারা এ রাস্তা দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন যাতায়াত করতে দিবে, এবং সপ্তাহে বুধবার ও সোমবার দুই দিন রাস্তাটি বন্ধ রাখবে। রাস্তাটি দুইদিন কেন বন্ধ রাখবে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আলাপকালে কমলগঞ্জ নন্দরানী চা-বাগানে হেড ক্লাক পংকজ দাস বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সপ্তাহে দুই দিন এই রাস্তায় চলাচল করা যাবে না। বাকি ৫দিন সবাই এই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। এটা বাগানের নিজস্ব রাস্তা। তাদের কথামতোই চলতে হবে। আমরা বাগানে চাকুরী করি, আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয় আমরা সেটা মেনে চলি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দরানী চা-বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। এই এলাকার বাসিন্দারা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো।