চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন করছে এবং এর অপব্যবহার হতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষা সংগঠনগুলো। গত বৃহস্প্রতিবার পাঁচটি ইউরোপীয় দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে সংগঠনগুলো ক্লিয়ারভিউ এআইর কর্মকাণ্ড নয়ে অভিযোগ করেছে। কম্পানিটি একটি শক্তিশালী চেহারা শনাক্তকরণ ডাটাবেইস গড়ে তুলেছে ওয়েব থেকে সংগ্রহ করা ছবি নিয়ে। ক্লিয়ারভিউ এসব ছবি কাজে লাগাচ্ছে, এমনকি সামাজিক মাধ্যমে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তাদের ছবিও সংগ্রহ করে নিচ্ছে। এসব ছবি তারা বায়োমেট্রিক সেবাদাতা থেকে শুরু করে প্রাইভেট কম্পানি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে দিচ্ছে। যদিও ক্লিয়ারভিউ বলছে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দিয়ে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, চেহারা শনাক্তকরণের বিষয়টি অপব্যবহারের যথেষ্ট শঙ্কা রাখে। ব্যক্তির গোপনীয়তা বলে কিছু থাকছে না। তাদের মতে, এটি চীনের ব্যাপক নজরদারির মতো। প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের আইন কর্মকর্তা ইয়োনিস কোভাকাস বলেন, ‘তারা অনলাইনে থাকা সবার ছবি সংগ্রহ করে নিচ্ছে।’ সূত্র : এএফপি।